২ স্তরের টেস্ট কাঠামোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসছে আইসিসি

১২ নভেম্বর ২০২৫

২ স্তরের টেস্ট কাঠামোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসছে আইসিসি

টেস্ট ক্রিকেটকে দুই স্তরে ভাগ করার পরিকল্পনা চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য কমিটিও গঠন করেছিল আইসিসি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই ভাবনা থেকে সরে আসতে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। উল্টো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরের চক্র থেকে পূর্ণ সদস্য ১২টি দেশকেই দেখা যেতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইটটি জানায়, গত সপ্তাতে দুবাইয়ে আইসিসির ত্রিমাসিক সভায় আইসিসি প্রধান নির্বাহীদের কমিটি ও আইসিসি বোর্ডের কাছে সুপারিশগুলো রেখেছে নিউ জিল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান রজার টুজের নেতৃত্বাধীন একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ।

ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর আইসিসির সভায় এই সুপারিশগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হবে।

গত জুলাইয়ে আইসিসির বার্ষিক সভায় দ্বি-স্তর বিশিষ্ট টেস্ট কাঠামো নিয়ে আলোচনা করা হয়। সে সময় টুজের নেতৃত্বে ওয়ার্কিং গ্রুপটি তৈরি করা হয়।

এই পরিকল্পনা বাতিল হলে তা বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দেশগুলোর জন্য বড় স্বস্তির খবর হবে। দুই স্তরের টেস্ট কাঠামো চালু হলে এই দেশগুলো দ্বিতীয় স্তরেই থাকত। ফলে শীর্ষ স্তরের দেশগুলোর সঙ্গে ম্যাচ খেলার সুযোগ বেশ কমে যেত।

টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোকে দুটি স্তরে ভাগ করে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দুটি দলের এক স্তর থেকে আরেক স্তরে উন্নয়ন ও অবনমনের বিষয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আলোচনা কিছুটা বেগবান হয়েছিল।

দুই স্তরের কাঠামো হলে শীর্ষ স্তরে থাকা ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড নিজেদের মধ্যে আরও বেশি ম্যাচ খেলা এবং আরও বেশি আয় করার সুযোগ পেত। তবে বাজে পারফরম্যান্সের ফলে বড় এই তিন দেশের কোনোটি দ্বিতীয় স্তরে নেমে গেলে আর্থিকভাবে তাদের বড় ধাক্কার শঙ্কাও ছিল।

এই পরিকল্পনা থেকে সরে এসে ২০২৭-২০২৯ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্র থেকে দল বাড়ানোর সুপারিশ দিয়েছে ওয়ার্কিং কমিটি। বর্তমানে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয় ৯টি পূর্ণ সদস্য দেশ। ২০২৭ সালের জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন চক্রে বাকি তিনটি পূর্ণ সদস্য – জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডকেও অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

এটি চূড়ান্ত হলে বর্তমান চক্রের মতোই প্রতিটি দলের জন্য সর্বনিম্ন সংখ্যক টেস্ট ম্যাচ খেলার বাধ্যবাধকতা থাকবে। তবে সেই সংখ্যাটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

তবে টেস্ট ম্যাচ আয়োজনে দেশগুলোকে বাড়তি কোনো আর্থিক সহায়তা করা হবে না। আর্থিক সঙ্কটের কারণে আয়ারল্যান্ডের মতো দেশগুলো টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করতে ধুঁকছে। গত কয়েক বছরে বেশ কিছু টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে তারা।

মন্তব্য করুন: