পছন্দ মতো পিচই পেয়েছিল ভারত

১৬ নভেম্বর ২০২৫

পছন্দ মতো পিচই পেয়েছিল ভারত

অল্প রানের লক্ষ্য দিয়েও ৩০ রানের জয়ে ভারতের মাটিতে ১৫ বছর পর টেস্ট জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্পিনারদের নৈপুণ্যে আড়াই দিনের ভেতর শেষ হয়ে গেছে ম্যাচটি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ইডেন গার্ডেন্সের পিচ আছে আলোচনায়। তবে স্বাগতিক হেড কোচ গৌতম গম্ভীর জানিয়েছেন, নিজেদের চাহিদামাফিক পিচই পেয়েছিলেন তারা।

রোববার কলকাতায় সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন ১২৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় চা বিরতির আগেই ৯৩ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এর চেয়ে কম লক্ষ্য তাড়ায় এর আগে কেবল একবারই হেরেছিল তারা। ১৯৯৭ সালে বার্বাডোজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১২০ লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি দেশটি।

চার ইনিংসে কোনো দলই একবারও দুইশ রানও করতে পারেনি। ভারতের মাটিতে এমন ঘটনা ঘটল প্রথমবার। এর আগে টেস্ট ইতিহাসে এরকম ঘটনা হয়েছে ১১ বার। সবশেষ ১৯৫৯ সালে ঢাকায় পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্টে কোনো দলই দুইশ রান করতে পারেনি।

ঘাড়ের চোটের কারণে নিয়মিত অধিনায়ক শুভমান গিল দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামায় একজন ব্যাটার কম নিয়ে খেলতে হয় ভারতকে। প্রোটিয়া স্পিন নৈপুণ্যে স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংস স্থায়ী ছিল ৩৫ ওভার।

পিচ নিয়ে ওঠা সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়ে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে গম্ভীর বলেন, “এই উইকেটে কোনো দৈত্য-দানব ছিল না। এটি খেলার অযোগ্য ছিল না। যদি আমরা উইকেট নিয়ে কথা বলতে থাকি, বেশিরভাগ উইকেটই নিয়েছে পেসাররা। এটি ছিল এমন একটি পিচ যেখানে আপনার টেকনিক, মানসিক দৃঢ়তা এবং মেজাজের পরীক্ষা হয়েছে।

এটাই ঠিক সেই পিচ যা আমরা চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনি যদি ভালো না খেলেন, তবে এটাই হবে। আমার মনে হয়, ১২৪ ছিল তাড়া করার মতো লক্ষ্য।

ভারতীয় স্পিনে কাবু হয়ে আগের দিন ৯৩ রান তুলতে উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকাকে লড়াই করার মতো লিড এনে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ম্যাচের একমাত্র অর্ধশতকটিও আসে তার ব্যাট থেকেই। শেষ পর্যন্ত ডানহাতি এই ব্যাটার ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন।

ঘরের মাঠে সবশেষ ছয় টেস্টে এটি ভারতের চতুর্থ পরাজয়। স্পিননির্ভর পিচ বানিয়ে জয়ের পরিকল্পনা যে এখন তাদের আর কাজ করছে না, এটি যেন সেরকমই এক বার্তা দিচ্ছে।

মন্তব্য করুন: