আয়ারল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

২ ডিসেম্বর ২০২৫

আয়ারল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

বোলারদের নৈপুণ্যে আয়ারল্যান্ডকে অল্পতেই গুটিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় তানজিদ হাসান তামিমের ফিফটিতে ৮ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে লিটন দাসের দল।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে এক বল আগে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় আইরিশরা। জবাবে ৩৮ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় টাইগাররা।

এদিন আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর ক্রিকেটারদের মধ্যে ফিল্ডার হিসেবে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৫ ক্যাচ নেওয়ার বিশ্বরেকর্ড গড়েন তানজিদ। আর আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে এই র্কীর্তি গড়া তৃতীয় ক্রিকেটার তিনি। এরপর ব্যাট হাতে ৩৬ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি এই ওপেনার। ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছেন তিনি।

লক্ষ্য তাড়ায় এদিন তানজিদের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামা সাইফ হাসান ১৯ রানে আউট হলে ভাঙে ৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। দ্রুত সাজঘরের পথ দেখেন অধিনায়ক লিটনও (৭)।

৪৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর পারভেজ হোসেন ইমনকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তানজিদ। এই জুটির শুরুটা দেখেশুনে হলেও ঝড় তুলতে বেশি সময় লাগেনি। ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৫ বলে ক্যারিয়ারের একাদশ ফিফটি পূর্ণ করেন তানজিদ। চার নম্বরে নামা ইমন অপরাজিত থাকেন ২৬ বলে ৩৩ রানে।

এর আগে স্পিনারদের নৈপুণ্যে উড়ন্ত সূচনা পাওয়া আয়ারল্যান্ডের রানের লাগাম টেনে ধরলেও শুরুটা করেন পেসাররা। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে টিমকে (১৭) বোল্ড করে ৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে বল হাতে নিয়ে হ্যারি টেক্টরকে (৫) বোল্ড করেন মুস্তাফিজুর রহমান।

পাওয়ারপ্লের শেষ হওয়ার পর প্রথম বলে লরকান টাকারকে (১) এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন শেখ মাহেদি হাসান। দশম ওভারের শেষ বলে দারুণ এক গুগলিতে কার্টিস ক্যাম্ফারকে (৯) বোল্ড করেন রিশাদ হোসেন। নিজের পরের ওভারে চার হজমের পরের বলে অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে (৩৮) তুলে নেন এই লেগ স্পিনার। নিজের শেষ ওভারে তিনি ফেরান গ্যারেথ ডেলানিকে (১০)।

এই ব্যাটারের ক্যাচ নিয়ে ম্যাচে নিজের প্রথম ক্যাচ তালুবন্দি করেন তানজিদ। এরপর শেষ ৪ উইকেটের সবকটির ক্ষেত্রেই ক্যাচ নেন তিনি। এতদিন বাংলাদেশি ফিল্ডারদের মধ্যে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩টি ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ড ছিল ১৩ জনের।

৯৬ রানে ৬ উইকেট হারানো আইরিশদের লেজ গুটিয়ে দেন পেসাররা। ১৮তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন মুস্তাফিজ। শেষ দুই ওভারে একটি করে উইকেট নেন যথাক্রমে শরিফুল ও সাইফউদ্দিন।

একাদশে ফিরে ৪ ওভারে ২১ রানে ৩ উইকেট নেন রিশাদ। ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে মুস্তাফিজও নেন ৩ উইকেট।

দুই ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হয়েছেন মাহেদি।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]

মন্তব্য করুন: