১ ম্যাচ খেলেই অ্যাশেজ শেষ উডের
৯ ডিসেম্বর ২০২৫
অ্যাশেজ সিরিজে পুরো ফিট অবস্থায় মার্ক উডকে পেতে বেশ সতর্ক অবস্থানে ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু প্রথম ম্যাচ খেলেই হাঁটুর পুরোনো চোটের কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের বাকি অংশ থেকে ছিটকে গেছেন এই গতিময় পেসার।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে উডের বাদ পড়ার কথা জানায় ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তার বদলি হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছে ম্যাথিউ ফিশারকে। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চার ডানহাতি এই পেসার ২০২২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি টেস্ট খেলেছিলেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাঁ হাঁটুর চোটে পড়েন উড। চোট থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে তার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করানো হয়। এরপর দফায় দফায় পেছায় তার মাঠে ফেরার সময়। অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে খেলেননি কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচও। চোট-জর্জর অতীতের কারণেই তাকে নিয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে ইংল্যান্ড। মূলত এই অ্যাশেজে তাকে পুরোপুরি ফিট পেতেই এই পদক্ষেপ নেয় তারা।
পার্থে অনুষ্ঠিত অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট দিয়ে ১৫ মাস পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের জার্সিতে মাঠে নামেন উড। গতির ঝড় তুললেও দুই দিনে শেষ হওয়া ম্যাচে ১১ ওভার বোলিং করে কোনো উইকেট পাননি তিনি। ম্যাচে আবারও হাঁটুর পুরোনো চোট জেগে ওঠায় দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান আগামী জানুয়ারিতে ৩৬ বছরে পা দিতে যাওয়া এই পেসার। ছিলেন মেলবোর্ন ও সিডনিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সিরিজের শেষ দুই টেস্টে ফেরার অপেক্ষায়।
সেই আশা শেষ হয়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহেই দেশে ফিরে উড পুনর্বাসন শুরু করবেন বলে জানায় ইসিবি।
সিরিজ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে উড লেখেন, “অ্যাশেজের বাকিটা থেকে ছিটকে পড়ে আমি হতাশ। বড় একটি অস্ত্রোপচারের পর দীর্ঘ সাত মাসের পরিশ্রম ও পুনবার্সন শেষে টেস্ট আঙিনায় ফিরেছিলাম। কিন্তু আমার হাঁটু স্রেফ টিকতে পারল না। আমাদের কারও এমন কিছুর প্রত্যাশা ছিল না। অনেক বড় প্রভাব রাখার প্রত্যাশা নিয়ে এখানে এসেছিলাম। আমি খুবই হতাশ যে, এত এত ইনজেকশন ও নিবিড় চিকিৎসা নেওয়ার পরও আমার হাঁটুর অবস্থা ভাবনার চেয়েও খারাপ।”
সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করে আবার ফিরে আসার প্রত্যয় জানিয়ে উড লেখেন, “আমি সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে আবার ফিরে আসতে চেষ্টা করব। গত কয়েক মাসের পথচলা ছিল খুবই কঠিন। তবে আরেকবার উপযুক্তভাবে চেষ্টা করতে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমি এখনও বিশ্বাস করি, আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব। কখনোই হাল ছাড়া যাবে না। কাম অন, ইংল্যান্ড।”
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে বাজেভাবে হেরে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে ইংল্যান্ড। আগামী ১৭ ডিসেম্বর অ্যাডিলেইডে শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট।















মন্তব্য করুন: