যেদিন শ্রীরামের ক্যারিয়ার থামিয়ে দিয়েছিলেন রফিক-পাইলট

২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

যেদিন শ্রীরামের ক্যারিয়ার থামিয়ে দিয়েছিলেন রফিক-পাইলট

ক্রিকেটার হিসেবে একদমই সফল হতে পারেননি, কিন্তু কোচ হিসেবে বেশ নামডাক আছে শ্রীধরন শ্রীরামের। গত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে তার নামটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও তিনি টাইগারদের কোচিং স্টাফে ছিলেন। অনেকেই হয়তো জানেন না, বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থেমে গিয়েছিল শ্রীরামের। ওই সিরিজে তাকে দুইবার আউট করেছিলেন কিংবদন্তি স্পিনার মোহাম্মদ রফিক। যাতে অবদান আছে খালেদ মাসুদ পাইলটেরও।

২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ক্রিকেটে অবিস্মরণীয় এক দিন। ১৯ বছর আগের সেই দিনটিতে শততম ওয়ানডে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, সৌরভ গাঙ্গুলীর দুর্ধর্ষ ভারতকে সেদিন প্রথমবারের মতো হারিয়ে দিয়েছিল হাবিবুল বাশারের দল। দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি শেষ হয়েছিল ১-১ সমতায়। ওই ম্যাচে ভারতের হয়ে একমাত্র হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন শ্রীধরন শ্রীরাম। তাকে শেষ পর্যন্ত প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান রফিক। প্রথম ম্যাচেও রফিকের বলেই শ্রীরাম আউট হয়েছিলেন মাত্র ৩ রানে।

বাংলাদেশের শততম ওয়ানডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। চট্টগ্রামে হওয়া প্রথম ম্যাচটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে মাত্র ১১ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। তাই দ্বিতীয় ম্যাচে টিম টাইগার ছিল উজ্জীবিত। আগে ব্যাট করতে নেমে আফতাব আহমেদের ফিফটিতে ৯ উইকেটে ২২৯ রান তোলে বাংলাদেশ। এছাড়া মাশরাফি বিন মুর্তজা ৩৯ বলে অপরাজিত ৩১, আশরাফুল ২৮ এবং খালেদ মাসুদ পাইলট ২০ রান করেন। জবাবে ভারত গুটিয়ে যায় ২১৪ রানে। শ্রীরাম করেছিলেন ৯১ বলে ৫৭ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেছিলেন মোহাম্মদ কাইফ।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত সেই ওয়ানডেই শ্রীরামের ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়ে গিয়েছিল। মজার ব্যাপার হলো, বাংলাদেশে সেই সফরে তিনি দুইবারই রফিকের বলে একইভাবে আউট হয়েছিলেন। দুইবারই তাকে স্টাম্পড করেন উইকেটকিপার পাইলট। এরপর থেকে তিনি আর জাতীয় দলে ডাক পাননি। একমাত্র ফিফটিও করেছিলেন ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে। ভারতের হয়ে ৪ বছরে মাত্র ৮ ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়েছেন। সব মিলিয়ে রান করেছেন মাত্র ৮১। এই ৮ ম্যাচে তিনি মোট ৯টি চার হাঁকালেও কোনো ছক্কা মারতে পারেননি। অবশ্য শ্রীরামের প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ার বেশ উজ্জ্বল। ১৩৩ ম্যাচের ১৯৪ ইনিংসে করেছেন ৯৫৩৯ রান।

মন্তব্য করুন: