নতুন কোচ নিয়োগে পিসিবির অপেশাদারিত্বে ক্ষুব্ধ আকিব জাভেদ

২২ মার্চ ২০২৪

নতুন কোচ নিয়োগে পিসিবির অপেশাদারিত্বে ক্ষুব্ধ আকিব জাভেদ

গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে স্থায়ী প্রধান কোচ ছাড়াই খেলছে পাকিস্তান। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে আর দুই মাসের মতো বাকি থাকলেও এখনও নতুন কোচ খোঁজার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। আর কোচ খোঁজের জন্য বোর্ড যে পন্থা অবলম্বন করছে তা নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক পেসার ও বোলিং কোচ আকিব জাভেদ।

আসছে জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাওয়া টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এপ্রিলে ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। তার আগেই স্থায়ী কোচ হিসেবে কোনো দলকে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা না থাকা শেন ওয়াটসনকে পেতে বেশ বড় অঙ্কের প্রস্তাব দেয় পিসিবি। তবে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই অল-রাউন্ডার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে ড্যারেন স্যামির দ্বারস্থ হয় তারা। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুইবার টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়কও পিসিবিকে হতাশ করেন।

এছাড়াও বিভিন্ন সময় খবর আসে কোচ হিসেবে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, জাস্টিন ল্যাঙ্গার, মাইক হেসন এবং এক সময় পাকিস্তানের ব্যাটিং পরামর্শকের দায়িত্ব পালনকে করা ম্যাথিউ হেইডেনের সঙ্গেও যোগাযোগ করে পিসিবি। এরপরও কোনো কোচ নিয়োগ দিতে না পারার কারণ হিসেবে পিসিবির অপেশাদারিত্বকেই দায়ী করেন আকিব। দলটির সাবেক এই বোলিং কোচের মতে, যোগ্যতা হিসেবে কোচ না খুঁজে পিসিবি ব্যক্তির যোগ্যতা অনুসারে কোচের মানদণ্ড নির্ণয় করে।

ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিসিবির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে গত সপ্তাহেই শ্রীলঙ্কার বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আকিব বলেন, “আমি ঈর্ষাকাতর হয়ে বলছি না, মন থেকেই বলছি। আপনি যদি গত ১০-১২ বছরের দিকে তাকান, মিকি আর্থার ছাড়া আর কোনো পেশাদার কোচই নিয়োগ দেয়নি পিসিবি। সারা বিশ্বে যখন কোচ নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, তখন প্রধান মানদণ্ড থাকে কোচিংয়ে লেভেল থ্রি প্লাস যোগ্যতা। এর সঙ্গে চার-পাঁচ বছর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিজ্ঞতা।

১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের সদস্য আকিব পিসিবির উদ্ভট ধরনের কোচ খোঁজার পদ্ধতির বিষয়ে বলেন, “পিসিবি আগে ব্যক্তি খুঁজে বের করে। এরপর ওই ব্যক্তি অনুসারে কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করে। যখন আপনি বিজ্ঞাপন ঠিকঠাক রাখবেন না, তখন যে কেউই আবেদন করতে পারে। তাহলে কোচ পদে আবেদনের মানদণ্ডটা আসলে কী?”

২০০৯ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন আকিব। এছাড়াও ২০০৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া পাকিস্তান দলের প্রধান কোচ ছিলেন। কোচ অনুসন্ধানের জন্য পিসিবিকে আগে নির্দিষ্ট মানদণ্ড তৈরির পরামর্শ দেন তিনি।

আমি সব সময়ই বলে এসেছি, আগে মানদণ্ড তৈরি করুন, এরপর সেটা অনুসারে কোচের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিন। কোনো যোগ্যতা ছাড়া, অভিজ্ঞতা ছাড়া, যে এক দিনও কোচিং করায়নি, এমন একজনকে আপনি প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে দিচ্ছেন। আমি সমালোচনা করছি না। বলতে চাচ্ছি, কাজটা আপনাদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে করা উচিত।

মন্তব্য করুন: