হাথুরু বিশ্বের সেরা কোচ হতে পারে, আমিও বাংলাদেশে সম্মানিত : সুজন

৭ এপ্রিল ২০২৪

হাথুরু বিশ্বের সেরা কোচ হতে পারে, আমিও বাংলাদেশে সম্মানিত : সুজন

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ওপর লাগামহীন ক্ষোভ ঝেড়ে চলছেন বোর্ডের অন্যতম পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিনি জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর হিসেবে অস্বস্তি বোধ করেছেন। এখন সামনে আরেকটি বিশ্বকাপ থাকলেও তিনি আর এসব দায়িত্ব নিতে রাজি নন। সুজন ব্যস্ত থাকতে চান তার ডেভলপমেন্ট ইউনিট আর ঘরোয়া লিগের কোচিং নিয়েই।

রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটান সুজন, আমি মনে হয় আর বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমাধান না। বাংলাদেশের আরও বড় সমাধান আছে। আমার আর বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোন দায়িত্বে আগ্রহও নেই। গত বিশ্বকাপে আমি যা করেছি, আমি মনে করি ওটা আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সঙ্গে যায় না আসলে। হয়তো বা আমি অত বড় কোচ না, অত কিছু জানিও না ক্রিকেট নিয়ে। তারপরও আমি মনে করি আমার সম্মান আছে। গত বিশ্বকাপে আমি সেই সম্মানটা পাইনি। আমি আর এই কাজ করতেও চাইনা।

ভবিষ্যতে টিম ডিরেক্টরের মতো দায়িত্ব না দেওয়ার জন্য বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে অনুরোধ জানিয়ে সুজন বলেন, আমি এখন আর ২৮-২৯ বছরের বালক না, আমার সম্মানটা এখন আমাকে রাখতে হবে। পাপন ভাইকে আগের মতোই সম্মান করি। তিনিই আমার ক্যাপ্টেন। কিন্তু আমি বিনয়ের সঙ্গে  অনুরোধ করি পাপন ভাইকে, যেন উনি আমাকে আর এ বিষয়ে কোনো কাজ করতে না বলেন।

নিজের অবস্থান ব্যখ্যা করতে গিয়ে প্রধান কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের ব্যাপারেও ইঙ্গিত করেন সুজন, হাথুরুসিংহে বিশ্বের সেরা কোচ হতে পারে সেটা আমার কাছে কোন মূল্য রাখে না। আমার বাংলাদেশে অনেক সম্মান আছে, ক্রিকেটাররা আমাকে অনেক সম্মান করে, আমি সেই সম্মানের জায়গাটা হারাতে চাই না। একটা জয়গায় যখন কাজ করেছি, সেই জায়গাটা যখন না পাই কাজ করতে, এতগুলো ট্যুর করার পর আমার কাজটা পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলে আমাকে ওই দায়িত্বে রাখার কোন মানে হয় না আসলে।

বাংলাদেশের এই সাবেক অধিনায়ক এখন ব্যস্ত থাকতে চান নিজের জীবন নিয়েই, আমি সেই কাজ না করতে পারি তাহলে কেন করব? আমি তো ট্যুর করতে যাই না বাংলাদেশ দলের সঙ্গে। আমি ট্যুর পার্টি হতে চাই না। আমি বিদেশ অনেক ঘুরেছি, বিদেশ ঘুরার কোন ইচ্ছাই নাই আমার। আমি নিজের জীবন নিয়ে থাকতে চাই। আমি আবাহনী, বিপিএলে, রাজশাহীতে ক্রিকেট একাডেমিতে কাজ করি। আমি এগুলো নিয়ে খুব খুশি আছি। দেশের ক্রিকেটের কোন উন্নতিতে যদি কাজ করতে হয় তবে অবশ্যই করব। কিন্তু জাতীয় দলের অ্যাসাইনমেন্টগুলো হয়তো আমার জন্য না, আমি যেটা বললাম আমি হয়তো ওটা ডিজার্ভ করি না।

মন্তব্য করুন: