ধোনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন মুস্তাফিজ

২৫ এপ্রিল ২০২৪

ধোনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন মুস্তাফিজ

চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএল খেলছেন মুস্তাফিজুর রহমান। পাঁচবারের শিরোপাজয়ী চেন্নাই তাকে ২ কোটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছিল। এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে ১২ উইকেট মুস্তাফিজের ঝুলিতে। দলটিতে আছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, যিনি আইপিএলের অন্যতম সফল অধিনায়ক। এই আসরে চেন্নাইকে নেতৃত্ব না দিলেও সবসময়ই নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন ক্যাপ্টেন কুল। সেই পরামর্শই দারুণভাবে কাজে লেগেছে মুস্তাফিজের।

জাতীয় দলে যোগ দিতে মুস্তাফিজকে দ্রুতই দেশে ফিরতে হবে। এর আগে চেন্নাইয়ের ইউটিউব চ্যানেলে আইপিএলের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বললেন, জাতীয় দলে যেমন সবাই ফ্রেন্ডলি, এখানে এসেও আমার তেমন কোনো অস্বস্তি বোধ হয়নি। এটাই মনে হয় অনেক বড় দিক। মাহি ভাই (এমএস ধোনি) কিছু ফিল্ডিং সেট আপ, ব্রাভো ডেথ ওভারের কিছু ফিল্ডিং সেট আপের পরামর্শ দিয়েছে, এই ছোটছোট জিনিসগুলা খুব ভালো কাজে লেগেছে। বোলিং নিয়েই কথা হয় বেশি, এমনিতে বাইরে কম কথা হয়। মাঠেই কথা হয় টুকটাক, যে কোনটা করলে কী হয়। মাহি ভাই এসে আমাকে বলে এটা করলে ভালো হতো।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার ডোয়াইন ব্র্যাভো চেন্নাইয়ের জার্সিতে অনেক বছর খেলেছেন। এখন তিনি দলটির বোলিং কোচ। নিজের সময়ে ডেথ বোলিং স্পেশালিস্ট ব্র্যাভোর থেকেও এবার অনেক কিছু শিখছেন মুস্তাফিজ। তবে চেন্নাই সুপার কিংসে যে ডাক পাবেন সেটা চিন্তাও করেননি বাংলাদেশের এই পেসার। ডাক পাওয়ার পর রোমাঞ্চ-উত্তেজনায় নাকি ওই রাতে তিনি ঘুমাতেই পারেননি।

মুস্তাফিজের ভাষায়, চেন্নাই দলে এটা আমার প্রথমবার। যখন আমি খেলা শুরু করি, বিশেষ করে আইপিএলে ২০১৬ সালে যখন খেলি, তখন থেকে চেন্নাই দলে খেলা আমার স্বপ্ন ছিল। এবার যখন চেন্নাইয়ে সুযোগ পাওয়ার খবর পাই, ওই রাতে আমার ঘুম আসছিল না। আমার পরের দিন খেলা ছিল, আমি নিউ জিল্যান্ডে ছিলাম, রাতে আমি মনে হয় ঘণ্টাখানেকের মতো ঘুমিয়েছিলাম, এরপর থেকে দেখি শুধু ম্যাসেজ আসতেছে। সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছিল, চেন্নাই দলে সুযোগ পাওয়ায়।

অন্য যেকোনো টুর্নামেন্টের থেকে আইপিএলে সব তারকারা থাকে, সব দেশের। এখানে যদি আমি সফল হই, অন্য জায়গায় সফল হওয়াটা সহজ হবে, আমার কাছে মনে হয়। বেশি ভালো লাগা কাজ করে যখন বড় দলের বিপক্ষে খেলি। আর বড় দলের বিপক্ষে যদি আপনি পারফর্ম করেন, সেটা সামনে আসবে বেশি। স্বাভাবিকভাবে আমার সবসময় বড় দলের বিপক্ষে খেলতে ভালো লাগে। দর্শক থাকে, সব কিছুই অন্যরকম।

যেকোনো স্পোর্টসে দেখবেন ভালোর শেষ নেই। যেটা পেছনে পড়ে গেছে সেটা চলে গেছে, সেটা আমি আর ফিরে পাবো না। আমি ওই ম্যাচে উইকেট পেয়েছিলাম, এটা দেখে বসে থাকলে হবে না। আমার সামনে আরও খেলা আছে, কী করলে আরও ভালো করতে পারি, সবসময় আমি এটাই ভাবি।

মন্তব্য করুন: