রাজা জানতেন, প্রশ্নটা তাকে শুনতেই হবে

রাজা জানতেন, প্রশ্নটা তাকে শুনতেই হবে

খর্বশক্তির জিম্বাবুয়ে দলে কিছুদিন আগেও পরিবর্তনের সুবাস পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু উগান্ডার কাছে বাছাইপর্বে হেরে তাদের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায়। এরপর আয়ারল্যান্ডের কাছে ২-১ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও একই ব্যবধানে তারা সিরিজ হেরেছে। সব ছাপিয়ে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজার দুঃসহ স্মৃতি হয়ে আছে উগান্ডার কাছে সেই হার।

পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলতে সিকান্দার রাজার দল এখন বাংলাদেশে। আগামী শুক্রবার চট্টগ্রামে শুরু হবে এই সিরিজ। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই সিকান্দার রাজাকে মনে করিয়ে দেওয়া হলো গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বের সেই দুঃসহ স্মৃতি। প্রশ্ন শুনে রাজা কষ্টের হাসি হেসে বললেন, মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমি জানতাম এই প্রশ্নটা আসবে।

২০ দলের বিশ্বকাপে সুযোগ করে নিতে না পারার কষ্ট জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক এরপর আর গোপন করেননি, ওই ঘটনাটা সব সময়ই বেদনাদায়ক হয়ে থাকবে। শুধু এখন নয়, যখন আমরা অবসর নেব, তখনো। শুধু আমরা যারা খেলছি তাদের জন্য নয়, যারা ম্যানেজমেন্টে আছে, তাদের জন্যও বিশ্বকাপে না যাওয়াটা সমান বেদনাদায়ক। শুধু এখন নয়, এই অনুভূতি আমাদের আরও অনেক দিন বয়ে বেড়াতে হবে।

দলের খারাপ সময়ে কীভাবে নিজেদের অনুপ্রাণিত করছেন- এমন প্রশ্নে রাজার জবাব, ক্রিকেট খেলার জন্য আলাদা অনুপ্রেরণা দরকার হয় না, ভেতর থেকেই আসে। আর আমি পুরো দলের হয়েই কথাটা বলছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপে যাওয়া। সেটা হয়নি। তবে জিম্বাবুয়েতে যে ছেলেমেয়েরা ক্রিকেট খেলে, যারা ক্রিকেট খেলে ক্যারিয়ার গড়তে চায়, তাদের প্রতি আমাদের বিরাট দায়িত্ব আছে। আমাদের বড় ক্যানভাসে দেখতে হচ্ছে বিষয়টা। অনুপ্রেরণার কথা বললেন, ওই ছেলেমেয়েরা, ওই পরিবার, আমার দেশ এবং আমাদের দেশে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করাই আমাদের অনুপ্রেরণার জন্য যথেষ্ট। আমরা চাইব আরও অনেক ক্রিকেট তৈরি করতে এবং নিজেদের একটা ছাপ রেখে যেতে।

মন্তব্য করুন: