কোহলির কথায় তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন গাভাস্কার

কোহলির কথায় তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন গাভাস্কার

চলতি আইপিএলে বিরাট কোহলি অনেক রান করলেও তার স্ট্রাইকরেট নিয়ে নিয়মিতই প্রশ্ন উঠছে। চারদিকে চলছে সমালোচনা। ভারতের কিংবদন্তি ওপেনার সুনিল গাভাস্কারও কোহলির স্ট্রাইকরেট নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। গত ২৮ এপ্রিল গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ম্যাচের পর সমালোচকদের জবাব দিয়েছিলেন কোহলিও। সেই জবাব শোনার পর বেজায় চটে গেছেন গাভাস্কার। তিনি কোহলিকে তুলোধুনো করে ছেড়েছেন!

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে কোহলি ৪৩ বলে ৫১ রান করেছিলেন। নিজের খেলা শেষ ২৫ বলে তিনি একটিও চার বা ছক্কা মারতে পারেননি! কোহলির মন্থর ব্যাটিং দেখে বিরক্ত গাভাস্কার বলেছিলেন, দেখে মনে হচ্ছে না কোহলি ফর্মে আছে। ঠিক মনে নেই, তবে ৩১-৩২ রান করার পর তাকে একটাও বাউন্ডারি মারতে দেখলাম না। ওপেন করতে নেমে ১৫তম ওভারে আউট হয়েছে। অথচ কোহলির স্ট্রাইক রেট ১১৮! দল তার থেকে মোটেও এমন ইনিংস আশা করে না।

এরপর গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে গত ২৮ এপ্রিলের ম্যাচে ৪৪ বলে ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পর সমালোচকদের উদ্দেশ্যে কোহলি বলেছিলেন,আমার সম্পর্কে অনেকে অনেক কথাই বলে। কেউ বলে আমি দ্রুত রান করতে পারি না। কেউ বলে স্পিন খেলতে পারি না। ১৫ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। আমি এখন এসব কথায় আর কান দেই না। নিজের কাজ করে যাই। আত্মসম্মান বজায় রেখে খেলতে চাই। সমর্থকদের জন্য খেলতে চাই।

ইনিংস শেষে উপস্থাপকের সঙ্গে এসব কথা বলতে বলতে কোহলি ধারাভাষ্যকারদের বক্সের দিকেও ইঙ্গিত করেছিলেন। তার এই বক্তব্য আইপিএলের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে বেশ কয়েকবার দেখানো হয়েছে। এতেই চটেছেন গাভাস্কার, কোহলির বক্তব্য পরেও অন্তত ৬ বার দেখানো হয়েছে। এই সাক্ষাৎকারে কোহলির কাছে জানতে চাওয়া উচিত ছিল, সে কোন সমালোচকদের কথা বলছে? ধারাভাষ্যকারদের কথা বলতে চাইছে কি? ধারাভাষ্যকারেরা তো সেই চ্যানেলের জন্যই কাজ করছেন। তাহলে তখন কেন ধারাভাষ্যকারদের প্রশ্ন করতে দেওয়া হলো না?

এরপর কোহলিকে নিয়ে ভারতের এই কিংবদন্তি ওপেনার বলেন, যখন কোহলির স্ট্রাইকরেট ১১৮ ছিল, তখন ধারাভাষ্যকারেরা প্রশ্ন তুলেছিলেন। আমি খুব নিশ্চিত করে বলতে পারব না। কারণ খুব বেশি ম্যাচ দেখিনি। তাই বলতে পারব না কে কী বলেছেন। কিন্তু কেউ ১১৮ স্ট্রাইকরেট নিয়ে ইনিংসের ১৪ বা ১৫তম ওভার পর্যন্ত ব্যাট করার পর প্রশংসা চাইলে ব্যাপারটা অন্য রকম হয়। সে নাকি বাইরের কথায় কান দেয় না, কারও কথায় পাত্তা দেয় না। ভালো কথা। তাহলে সে কেন বাইরের কথার উত্তর দিচ্ছে? কোহলির মতো বেশি না হলেও আমরা সবাই অল্প বিস্তর ক্রিকেট খেলেছি। আমরা কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এসব বলি না। আমাদের কোনো পছন্দ-অপছন্দ থাকে না। খেলায় যেটা হয়, সেটাই বলি।

মন্তব্য করুন: