নিউ ইয়র্কের পিচ নিয়ে রোহিতের উদ্বেগ

নিউ ইয়র্কের পিচ নিয়ে রোহিতের উদ্বেগ

টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টির পিচ। টুর্নামেন্টের জন্য মাত্র পাঁচ মাসে তৈরি করা এই মাঠে রোববার মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দুটি। ফলে ম্যাচের দিনের ২২ গজ নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় আছেন রোহিত শর্মা। ভারত অধিনায়কের মতে, পিচ কেমন আচরণ করবে তা জানেন না পিচ কিউরেটরও নিজেও।

নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় সব ম্যাচেই পিচের অসম বাউন্স ও থেমে থেমে বল আসার কারণে রান তুলতে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে ব্যাটারদের।  সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে এই মাঠে খেলা ক্রিকেটারদের ব্যাপক সমালোচনার পর পিচের নিয়ে কাজ করার কথা জানায় আইসিসি। তবে তাতেও কোনো লাভ হয়েছে কি না তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।

আইসিসির সেই ঘোষণার পর শনিবার নেদারল্যান্ডস-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ হয়েছে নতুন পিচে। ডাচদের দেওয়া ১০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে মারাত্মক চাপে পড়ে প্রোটিয়ারা। তবে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮ ওভার ৫ বলে জয় পায় এইডেন মারক্রামের দল।

গুঞ্জন আছে এই পিচেই নাকি হবে ভারত-পাকিস্তান মহারণ। ফলে ম্যাচের দিন মাঠের অস্থায়ী পিচ কেমন আচরণ করবে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রোহিত। ম্যাচ  পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘‘নিউ ইয়র্ক আমাদের ঘরের মাঠ না। এখানে দুটো ম্যাচ খেলেছি আমরা। তবে এখনও এর প্রকৃতি বুঝে উঠতে পারিনি। এটা বিভিন্ন দিন বিভিন্ন আচরণ করে। এমনকি কিউরেটরও এ নিয়ে দ্বিধায় আছেন।”

পিচ ছাড়াও ভেন্যুর মন্থর আউটফিল্ড নিয়েও অভিযোগ আছে অনেক। বাউন্ডারি তুলনামূলক বড় হওয়ায় দৌড়ে রানের ওপর বেশি জোর দিচ্ছেন রোহিত।

আমরা এখনও জানি না পাকিস্তানের বিপক্ষে কোন পিচে খেলা হবে। তাই যারাই ভালো ক্রিকেট খেলবে তারাই জিতবে। আউটফিল্ড বেশ বড়। অনেক শটই বাউন্ডারি পর্যন্ত যায় না। তাই রানিং বিটুইন দ্য উইকেটও গুরুত্বপূর্ণ।

রোববার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় মাঠে নামবে ভারত ও পাকিস্তান। টি-টুয়েন্টির বিশ্ব আসরে এখনও পর্যন্ত সাতবার মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। ছয়বার জয় পেয়েছে ভারত। ২০২১ সালের আসরে একমাত্র জয় পায় পাকিস্তান।

মন্তব্য করুন: