বিয়ের পর থেকে দূরত্ব বাড়ে সাকিব-তামিমের

বিয়ের পর থেকে দূরত্ব বাড়ে সাকিব-তামিমের

দেশের ক্রিকেটের দুই সুপারস্টার সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবালের বন্ধুতা আর শত্রুতা নিয়ে কম আলোচনা-সমালোচনা হয়নি। তাদের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব পরবর্তীতে রূপ নেয় বিরোধে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন। এরপর বিষয়টি সাকিব-তামিম দুজনেই কথা বলেছেন। এবার ফের মুখ খুললেন সাকিব।

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘বঙ্গবিডি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিমের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি নিয়ে সাকিব বলেন, “কথা হতো না, এটা একদম ভুল কথা। আমাদের একসময় যে সম্পর্কটা ছিল, সারাক্ষণ একসঙ্গে থাকতাম, ওই সম্পর্কটা অনেক দিন ধরেই ছিল না। আমি বিয়ে করলাম। সে (তামিম) বিয়ে করল। দুজনের বাসা আলাদা, আলাদা জায়গায় থাকা—এভাবে (দুজনের) সময়টা অনেক কমে যায়।”

ক্যারিয়ারের প্রারম্ভে সাকিব-তামিম একই বিল্ডিংয়ে থাকতেন। বিয়ের পর তাদের দূরত্ব বাড়তে থাকে বলে সাকিবের দাবি, “স্বাভাবিকভাবেই ওই (পূর্বের) নৈকট্য ধীরে ধীরে কমতে থাকে। মানুষের আলাদা জীবন চলে আসে। আলাদা পারিবারিক জীবন। এই ব্যস্ততাগুলোর সঙ্গে ধীরে ধীরে সময়টাও পাল্টে যেতে শুরু করে। তারপর যেটা হয়েছে, মাঠে দেখা হলে যখন কোনো প্রয়োজন হতো, তখনই কথা হতো। এর থেকে খুব বেশি যে কথা বলার দরকারও ছিল, আমার কাছে সেটা মনে হয় না।”

সাকিব-তামিমের এই বিরোধ সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে ফিসফাস থাকলেও বিষয়টি সবার আগে প্রকাশ্যে আনেন নাজমুল হাসান পাপন। পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য পাপনকেই দায়ী করলেন সাকিব, “পাপন ভাই বলার পর থেকে এই ব্যাপারটি আরও আলোচনায় চলে আসে। আমার মনে হয় ওটা বেশি সমস্যা তৈরি করেছে এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিংবা এই পরিস্থিতি তৈরির জন্য।”

সাকিব এখন বিশ্বকাপ খেলছেন। তামিম অনেকদিন ধরেই জাতীয় দলে কোনো ফরম্যাটেই খেলেন না। সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়, তামিমের সঙ্গে সম্পর্কটা তিনি ঠিক করতে চান কিনা? সাকিবের জবাব, “এখানে ঠিক-ভালোর কিছু নেই। আমরা যত দিন খেলেছি একসঙ্গে, ড্রেসিংরুম যত দিন ভাগ করেছি, দলের ক্ষতি হোক কিংবা ক্ষতি হবে, এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে আমার মনে হয় না। যাদের যতটা অবদান রাখার প্রয়োজন ছিল, সেটা কথা বলেই হোক, না বলেই হোক, কোনো জায়গাতেই এটাতে কখনো সমস্যা ছিল না।”

মন্তব্য করুন: