অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে হারল বাংলাদেশ

অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে হারল বাংলাদেশ

তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জয়ের জন্য ভালো অবস্থানেই ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরে যা হয়েছে, তাতে চোখ ছানাবড়া হবে যে কারোরই। শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে ৫ রানের মধ্যে ৭ উইকেটের পতনে ৭৭ রানে হেরে গেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।

বুধবার কলম্বোয় প্রথম ওয়ানডেতে ২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৩৫ ওভার ৫ বলে গুটিয়ে যায় ১৬৭ রানে বাংলাদেশ। এর আগে তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিবের পেস তোপে ২৪৪ রানে অলআউট হয়েছিল শ্রীলঙ্কা।

১৬ ওভার ৩ বলে ১ উইকেটে ১০০ রান ছিল বাংলাদেশের। সেখান থেকে পরের ২৬ বলে ৫ রানের মধ্যে সফরকারীরা হারায় ৭ উইকেট, যার শুরুটা হয় শান্তর রানআউট দিয়ে। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন তিনজন।

লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও উদ্বোধনী জুটি থেকে ২৯ রানের বেশি আসেনি। পারভেজ হোসেন ইমনের (১৩) বিদায়ের পর বেশ স্বাচ্ছন্দেই রান তুলতে থাকেন তানজিদ-শান্ত জুটি। আক্রমাণত্মক ব্যাটিংয়ে ৫১ বলে ফিফটি তুলে নেন তানজিদ।

দারুণ খেলতে থাকা শান্ত (২৩) দুই রান নিতে গিয়ে রানআউটে কাটা পড়েন। এরপরই লঙ্কানদের ঘূর্ণি ও দারুণ ফিল্ডিংয়ে ধসে পরে পুরো ব্যাটিং অর্ডার। ১৮তম ওভারে জোড়া আঘাতে লিটন দাস ও তানজিদকে তুলে নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। রানের খাতা খোলার আগে ওভারের দ্বিতীয় বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন লিটন। ৬১ বলে ৬২ রান করা তানজিদকে ফেরাতে পঞ্চম বলে মিড-অফে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন জানিত লিয়ানাগে।

এরপর একে একে সাজঘরের পথ দেখেন তাওহিদ হৃদয় (১), মিরাজ (০), তানজিম (০) ও তাসকিন (০)। শেষ দিকে লঙ্কানদের জয় বিলম্বিত করেন ৫১ রান করা জাকের আলী। হাসারাঙ্গা ৪টি ও কামিন্দু মেন্ডিস ৩টি উইকেট শিকার করেন।

টস হেরে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেওয়া তাসকিন ও তানজিমের পেস তোপে ২৯ রানের ভেতর ৩ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। তবে অধিনায়ক চারিত আসালাঙ্কা ও কুশল পেরেরার ব্যাটে শুরুর চাপ কাটিয়ে ওঠে তারা।

৪৫ রান করা কুশলকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে ৬০ রানের এই জুটি ভাঙেন অভিষিক্ত তানভীর ইসলাম। পঞ্চম উইকেটে লিয়ানাগেকে নিয়ে আরেকটি পঞ্চাশোর্ধ জুটি গড়েন আসালাঙ্কা। নিয়মিত বোলাররা এই জুটি ভাঙতে ব্যর্থ হলে অধিনায়ক মিরাজ বল তুলে দেন শান্তর হাতে। চতুর্থ বলে লিয়ানাগেকে তুলে নিয়ে ৬৪ রানের জুটি ভাঙেন সাবেক এই অধিনায়ক।

এরপর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে হাত খুলে খেলতে পারেনি লঙ্কানরা। ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি হাঁকানো আসালাঙ্কা শেষ ওভারের প্রথম বলে ফেরেন ১০৬ রান করে। পরের বলে হৃদয়ের সরাসরি থ্রোতে শেষ ব্যাটার রানআউট হলে ৪ বল আগে শেষ হয় স্বাগতিকদের ইনিংস। তাসকিনের শিকার ৪ উইকেট। তানজিম নেন ৩ উইকেট।

মন্তব্য করুন: