২৪৮ রানে অলআউট বাংলাদেশ
৫ জুলাই ২০২৫

নিয়মিত উইকেট হারানোয় পারভেজ হোসেন ইমনের আগ্রাসী শুরুর পরও বড় রান সংগ্রহের সুযোগ হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলীর জুটিতে লড়াই করার মতো সংগ্রহ গড়তে চেয়েছিল অতিথিরা। কিন্তু ছোট আরেকটি ব্যাটিং ধসে ২৪৮ রানে গুটিয়ে গেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
শনিবার কলম্বোয় সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ শেষ ৫ উইকেট হারায় ৪৪ রানে। শেষ দিকে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দেন তানজিম হাসান সাকিব। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন ইমন।
ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। তৃতীয় ওভারে আসিথা ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের বাইরের স্লোয়ার বল খেলতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন তানজিদ হাসান তামিম (৭)। তবে ইমন ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে শুরুর ধাক্কা দ্রুতই কাটিয়ে ওঠে দল।
ইমনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে নবম ওভারেই দলের খাতায় যোগ হয় পঞ্চাশ রান। কিন্তু পাওয়ারপ্লে শেষ হতেই শান্ত (১৪) সাজঘরের পথ দেখলে শেষ হয় দ্বিতীয় উইকেটের ৬৩ রানের জুটিটি। সঙ্গীর বিদায়ের পর ৪৬ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন ইমন। ৬৭ রান করা এই ওপেনারকে ফিরিয়ে লঙ্কানদের স্বস্তি এনে দেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
দ্রুত সাজঘরের পথ দেখেন মিরাজও। দুশমন্ত চামিরাকে পুল করতে গিয়ে ৯ রান করা বাংলাদেশ অধিনায়ক স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দেন। শামীম হোসেনকেও (২২) শর্ট বলে শিকারে পরিণত করেন ফার্নান্দো।
অল্প সময়ের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা দলের হাল ধরতে ষষ্ঠ উইকেটে জুটি বাঁধেন হৃদয় ও জাকের। কিন্তু তাদের ধীর ব্যাটিংয়ে কমে আসে রানের গতি। এরপরও দলকে ভালো অবস্থানে নেওয়ার পথে রেখেছিলেন তারা। কিন্তু ফার্নান্দোর বলে জাকের (২৪) এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়লে ভাঙে ৪৫ রানের জুটিটি। এরপরই ধস নামে ব্যাটিং-অর্ডারে।
তানজিমের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটে কাটা পড়ে ফেরেন ৫১ রান করা হৃদয়। দ্রুত ফেরেন হাসান মাহমুদ ও তানভীর ইসলামও। এরপর শেষ উইকেটে মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে ৩০ রান যোগ করেন তানজিম। মুস্তাফিজ (০) হাসারাঙ্গার শিকার হয়ে ফিরলে ২৫ বল আগে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]
মন্তব্য করুন: