ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে সিরিজ হারল বাংলাদেশ

ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে সিরিজ হারল বাংলাদেশ

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বোলারদের শেষ ১০ ওভারের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লক্ষ্যটা খুব বড় হতে দেয়নি বাংলাদেশ। কিন্তু রান তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর সঙ্গে অতিরিক্ত ডট বল খেলে ম্যাচ খুঁইয়েছে সফরকারীরা। ৯৯ রানের জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে লঙ্কানরা।

মঙ্গলবার পাল্লেকেলেতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে কুশল মেন্ডিসের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৭ উইকেটে ২৮৫ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ১০ ওভার ২ বল আগে ১৮৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৩৩ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় মেহেদী হাসান মিরাজের দল।

দলের হয়ে ফিফটি করেন কেবল তাওহিদ হৃদয়। কিন্তু ৭৮ বলে ৫১ রানের ইনিংসে তিনি ডট বল খেলেছেন ৪৫টি। এছাড়া আর কোনো ব্যাটার ৩০ রানও করতে করতে পারেননি। পুরো ইনিংসে ৬০ শতাংশ বলে কোনো রান নিতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা।

রান তাড়ায় বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে তানজিদ হাসান তামিম ফেরেন ১৩ বলে ১৭ রান করে। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৯ রানে বাঁহাতি এই ব্যাটারকে বোল্ড করেন আসিথা ফার্নান্দো। রানের খাতা খোলার আগে পরের ওভারে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ দেখেন নাজমুল হোসেন শান্তও।

তৃতীয় উইকেটে পারভেজ হোসেন ইমন ও হৃদয়ের জুটি থেকে আসে ৪২ রান। টানা ডট বল খেলে ৪৪ বলে ২৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইমন। এরপর মিরাজ ক্রিজে এসে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করলেও অপর প্রান্তে তেমন কোনো চেষ্টা দেখা যায়নি হৃদয়ের ব্যাটে। ২৫ বলে ২৮ রান করে মিরাজের বিদায়ের পর আরও কমে যায় রানের গতি। ১২ রানের বেশি করতে পারেননি শামীম হোসেন।

৭৫ বলে ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি হাঁকানোর পর দুশমন্ত চামিরার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ দেখেন হৃদয়। এরপর জাকের আলীর ২৭ রান কেবল পরাজয়ের ব্যবধান কমায়। ৩৯ ওভার ৪ বলে তানভীর ইসলামের বিদায়ে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।

এর আগে বল হাতে এদিনও সফরকারীদের প্রথম উইকেট এনে দেন তানজিম হাসান সাকিব। চতুর্থ ওভারে ডানহাতি এই পেসার ফেরান নিশান মাদুশকাকে (১)। দ্বিতীয় উইকেটে পাতুন নিসাঙ্কা ও কুশলের ৫৬ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় লঙ্কানরা। নিসাঙ্কাকে (৩৫) ফিরিয়ে এই জুটি থামান তানভীর ইসলাম।

কামিন্দু মেন্ডিসকে (১৬) এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। ১০০ রানে ৩ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন কুশল ও আসালাঙ্কা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ওভারপ্রতি ছয়ের বেশি করে রান তোলেন তারা। আসালাঙ্কা ফিফটি তুলে নেওয়ার পর ৯৫ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান স্পর্শ করেন কুশল।

আসালাঙ্কাকে (৫৮) ফিরিয়ে চতুর্থ উইকেটে ১২৪ রানের জুটিটি ভেঙে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন তাসকিন। খানিকবাদে হিট উইকেট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো জানিত লিয়ানাগে (১২)। পরের ওভারে ১১৪ রান করা কুশলকে তুলে নেন শামীম।

শেষ ১০ ওভারে ৬৩ রানে দিয়ে লঙ্কানদের ৪ উইকেট নেন বোলাররা।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]

মন্তব্য করুন: