হারের পেছনে নিজেকেও দায়ী করলেন মিরাজ

হারের পেছনে নিজেকেও দায়ী করলেন মিরাজ

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। হারের কারণ হিসেবে বড় জুটি গড়তে না পারার কারণের কথা জানালেও নিজের উইকেটকে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।

মঙ্গলবার পাল্লেকেলেতে সিরিজের তৃতীয় শেষ ওয়ানডেতে লঙ্কানদের দেওয়া ২৮৫ রানের জবাবে ১৮৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৯৯ রানে ম্যাচ হেরে - ব্যবধানে সিরিজ হারিয়েছে তারা।

রান তাড়ায় পঞ্চাশ ছোঁয়া কোনো জুটি গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ জুটিটি আসে চতুর্থ উইকেটে, মিরাজ তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে। ৪৩ রানের এই জুটিটি শেষ হয় ২৫ বলে ২৮ রান করা মিরাজ লং অনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলে। পুরো ইনিংসে ডানহাতি এই ব্যাটার ছাড়া প্রথম সাত ব্যাটারের আর কেউই ৮০ স্ট্রাইক-রেটে ব্যাট করতে পারেননি।

ম্যাচ শেষে মিরাজ বলেন, “আমি আউট হওয়ার ফলে দল চাপে পড়ে। আমি রান রেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলার চেষ্টা করছিলাম। প্রতি ওভারে অন্তত একটি বাউন্ডারি নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল, যেন হৃদয়ের ওপর চাপ না পড়ে। তাই হিসাব করে ঝুঁকি নিয়েছিলাম। কিন্তু শটটা ঠিকভাবে খেলতে পারিনি। ঠিকভাবে খেললে ছক্কা হতো।

অধিনায়ক হৃদয়কে চাপে না রাখতে নিজে মারমুখী ভঙ্গিতে খেলার কথা জানালেও দলের চাপ বাড়িয়েছেন হৃদয় নিজেই। মিরাজ সাজঘরে ফেরার পর ২৯ ওভারে দলের প্রয়োজন ছিল ১৮১ রান। সে সময় হৃদয় ক্রিজে থিঁতু হলেও অন্য কারোর সঙ্গে জুটি গড়তে ব্যর্থ হন। ফেরেন ৫১ রান করে। ৭৮ বলের ইনিংসে তিনি ডট বল খেলেছেন ৪৫টি। 

শ্রীলঙ্কার মতো বড় জুটি না হওয়াকে হারের কারণ হিসেবে দেখা মিরাজ বলেন, “হৃদয় জাকের যখন ব্যাটিং করছিল, তখনো বিশ্বাস ছিল ম্যাচ জিততে পারি। কিন্তু শ্রীলঙ্কার মতো বড় জুটি গড়তে পারিনি। তারা ১০০ রানে তিন উইকেট হারানোর পর কুশল মেন্ডিস আসালাঙ্কা ১২৪ রানের জুটি গড়েছে। মাঝের ওভারগুলোতে জুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কিছু ৪০ রানের জুটি পেয়েছি, কিন্তু এগুলো দিয়ে ম্যাচ জেতা কঠিন।

মন্তব্য করুন: