বাংলাদেশকে টি-টুয়েন্টি শেখালো শ্রীলঙ্কা

১০ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশকে টি-টুয়েন্টি শেখালো শ্রীলঙ্কা

ধীরগতির ব্যাটিংয়ে কোনো মতে দেড়শ রান পার করেছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা দেখিয়ে দিল টি-টুয়েন্টি কীভাবে খেলতে হয়। পাথুম নিসাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিসের বিধ্বংসী শুরুতেই ম্যাচের ফল নির্ধারণ হয়ে যায়। ৭ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

বৃহস্পতিবার পাল্লেকেলেতে সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে ৫ উইকেটে ১৫৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। রান তাড়ায় ১৯ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছায় শ্রীলঙ্কা। ৫১ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৮ রান করেন মেন্ডিস।

নিসাঙ্কা ও মেন্ডিসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে প্রথম ছয় ওভারে দলের খাতায় যোগ হয় ১ উইকেটে ৮৩ রান, যা পাওয়ারপ্লেতে দেশটির সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডটি ছিল ভারতের বিপক্ষে ২ উইকেটে ৭৫ রান।

পঞ্চম ওভারে নিসাঙ্কাকে ফিরিয়ে ২৮ বলে ৭৮ রানের উদ্বোধনী জুটিটি থামান মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৬ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৪২ রান করেন নিসাঙ্কা। ডানহাতি এই ব্যাটারের বিদায়ের পর রানের লাগাম কিছুটা টেনে ধরতে সক্ষম হন বোলাররা। কিন্তু ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি। ৩১ বলে ক্যারিয়ারের ১৬তম ফিফটি তুলে নেন মেন্ডিস।

অপর প্রান্তে রান তুলতে কিছুটা হিমশিম খাওয়া কুশল পেরেরাকে (২৪) ফেরান রিশাদ হোসেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে শামীম হোসেন পাটোয়ারীর দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরের পথ দেখেন দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যেতে থাকা মেন্ডিস। এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি স্বাগতিকরা।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের হয়ে শুরুকে পারভেজ হোসেন ইমন আর শেষে শামীম হোসেন পাটোয়ারী ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই টি-টুয়েন্টির মেজাজে ব্যাট করেতে পারেননি।

প্রথম ৬ ওভারে ৫৪ রান তোলা বাংলাদেশ পরের ১৪ ওভারে তুলতে পারে কেবল ১০০ রান। এর মধ্যে ২৪ রানই আসে শেষ দুই ওভারে। শামীমের দুই ছক্কায় দেড়শ রান পার করে সফরকারীরা।

ইমন-তানজিদ হাসান তামিমের ৩০ বলে ৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি থামার পরই কমে যায় দলের রানের গতিও। ১১ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। ২২ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ রান করা ইমনকে ফেরান মহীশ তিকশানা।

প্রায় তিন বছর পর জাতীয় দলের জার্সিতে টি-টুয়েন্টি খেলতে নামা নাঈম শেখ রানের গতি বাড়াতে পারেননি। অপর প্রান্তে ধুঁকতে থাকা তাওহিদ হৃদয় সাজঘরের পথ দেখেন ১৩ বলে ১০ রান করে।

পঞ্চম উইকেটে নাঈম-মিরাজের জুটিতে দলের খাতায় ৪৬ রান যোগ হলেও রানের গতি ছিল কম। ১৯তম ওভারে অধিনায়ক মিরাজ (২৯) ফেরার পর ৫ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থেকে দলকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দেন শামীম। নাঈম অপরাজিত থাকেন ২৯ বলে ৩২ রান করে।

আগামী রোববার ডাম্বুলায় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য করুন: