কামিন্সের পিঠের চোটে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ প্রস্তুতিতে ধাক্কা
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ ধরে রাখার প্রস্তুতিতে বড় ধাক্কা এসেছে দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স পিঠের নিচের অংশের চোট। ডানহাতি এই পেসার কবে ফিরবেন, সে বিষয়ে কোনো সময়সীমা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
স্ক্যানে লাম্বার হাড়ে চোটের লক্ষণ ধরা পড়ায় ৩২ বছর বয়সী এই ফাস্ট বোলার আসন্ন নিউ জিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন।
মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানায়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর থেকেই কামিন্স পিঠের ব্যথায় ভুগছেন এবং পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজের আগে চোট নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
তবে প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি আশাবাদী। পুনর্বাসন শেষে কামিন্স ২১ নভেম্বর পার্থে শুরু হওয়া প্রথম টেস্টের জন্য প্রস্তুত থাকবেন বলে আশা করছেন তিনি।
মঙ্গলবার ভিডিও কলে সাংবাদিকদের বেইলি বলেন, “সময় অনেক বাকি আছে, প্রায় ৮০ দিন। এমনকি (এ সময়ে) ম্যাচ কম খেললেও তার অভিজ্ঞতা ও প্রস্তুতির ওপর আমাদের আস্থা আছে।”
কামিন্সকে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি সাদা বলের সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ছিল ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজও।
যদিও নতুন চোটকে স্ট্রেস ফ্র্যাকচার হিসেবে ধরা হয়নি, তবে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তার যে পিঠের চোট ছিল, সেই সময়টার কথাই মনে করাচ্ছে এটি।
২০১১ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে ৭ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে তাকে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
২০১৭ সালে ফেরার পর থেকে তিনি অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়ে পরিণত হন। অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র দুটি টেস্ট তিনি চোটের কারণে খেলতে পারেননি।
বেইলি জানান, প্রয়োজনে কোনো প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ না খেলিয়েই কামিন্সকে অ্যাশেজে খেলানো সম্ভব। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী পেসারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হবে।
“যখন কোনো খেলোয়াড় টানা পাঁচ টেস্ট খেলেন, কৃতিত্ব তার এবং দলের সাপোর্ট স্টাফদের প্রাপ্য। তবে আমরা সবসময় শীর্ষ তিন-চার বোলারের বাইরে তাকাই, বিশেষ করে তৃতীয় টেস্ট থেকে, যখন চাপ বাড়তে থাকে।”
কামিন্সকে হারানো অ্যাশেজে স্বাগতিকদের জন্য বড় ধাক্কা হবে, যদিও স্কট বোল্যান্ডকে উপযুক্ত বিকল্প হিসেবে ধরা হচ্ছে।
অ্যাশেজে কামিন্স এখন পর্যন্ত ১৯ টেস্টে ২৪ দশমিক ১০ গড়ে ৯১ উইকেট নিয়েছেন। ঘরের মাঠে অ্যাশেজে তিনি আরও ভয়ংকর। ৯ টেস্টে সাড়ে ২১ গড়ে তার শিকার ৪৪ উইকেট।
কামিন্সের এই চোটের বিষয়টি দীর্ঘদিনের সতীর্থ মিচেল স্টার্কের আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণার দিন সামনে এলো।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সারির তিন পেসারের মধ্যে এখন কেবল জশ হ্যাজেলউডই থাকছেন নিউ জিল্যান্ড সফরের টি-টুয়েন্টি দলে।
মন্তব্য করুন: