অ্যাশেজে খেলতে ঝুঁকি নিতেও প্রস্তুত কামিন্স
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অ্যাশেজ শুরু হতে এখনও বাকি আড়াই মাসেরও বেশি। কিন্তু এর আগেই চোটের কারণে সিরিজে প্যাট কামিন্সকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার জন্য তিনি ঝুঁকি নিতেও প্রস্তুত।
মঙ্গলবার কামিন্সের পিঠের নিচের অংশের চোটের বিষয়টি জানান অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি। এ কারণে নিউ জিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে আসন্ন সীমিত ওভারের সিরিজে মাঠের বাইরে থাকতে হবে কামিন্সকে।
বুধবার ব্রিসবেনে সাংবাদিকদের ৩২ বছর বয়সী এই পেসার জানান, নভেম্বরের শেষ দিকে শুরু হওয়া অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে খেলতে সবকিছু করবেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পার্থে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ম্যাচটি খেলতে না পারাটা তার জন্য হতাশার হবে।
“আমি আত্মবিশ্বাসী যে সঠিকভাবে পুনর্বাসন করলে পার্থে খেলার মতো অবস্থায় আসতে পারব। এখনও অনেকটা সময় বাকি। তাই আমরা সবকিছু ঠিকঠাক করছি যেন পার্থে খেলতে পারি। অ্যাশেজ সিরিজ বিশাল ব্যাপার। তাই আগ্রাসী হয়ে কিছুটা ঝুঁকি নেওয়ার চেষ্টা করব, যাতে যত বেশি টেস্ট খেলা যায়।”
গত জুন-জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয়ের পর থেকে বিশ্রামে আছেন কামিন্স। পুরো সিরিজে ৬০ ওভার বোলিং করেছিলেন তিনি।
চোটের সবশেষ অবস্থা জানিয়ে অজি অধিনায়ক বলেন, “হাড়ের ইনজুরিতে সবচেয়ে জরুরি হলো একে স্থির হতে দেওয়া। এখনও জিম করছি। তবে দৌড়ানো বা বোলিং কিছুই করছি না। সব ঠিক হলে ধাপে ধাপে গ্রীষ্মের জন্য প্রস্তুত হবো। প্রথম টেস্টের আগে প্রায় ১২ সপ্তাহ সময় আছে।”
অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দ্রুত ফিটনেসে ফিরতে পারবেন জানিয়ে আত্মবিশ্বাসী কামিন্স বলেন, “ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে মনে হচ্ছে, আমি ১৮-১৯ বছর বয়সে থাকা অবস্থায় যেমন সময় লাগত তার চেয়ে তাড়াতাড়ি ফিরতে পারব। শেফিল্ড শিল্ডে খেলার সুযোগ না পেলেও ম্যাচ খেলার অবস্থায় ফেরার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।”
তবে শেষ পর্যন্ত কামিন্স ফিট হয়ে উঠতে না পারেন তবে তার বিকল্পও প্রস্তুত আছে অস্ট্রেলিয়ার। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামতে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন স্কট বোল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবশেষ টেস্টে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ডানহাতি এই পেসার।
অন্যদিকে নেতৃত্বে বিকল্প হিসেবে আছেন স্টিভেন স্মিথ। কামিন্সের অনুপস্থিতিতে বেশ কয়েকবার দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
আগামী ২১ নভেম্বর পার্থে শুরু হবে এবারের অ্যাশেজ। এরপর বাকি টেস্টগুলো ডিসেম্বরে ব্রিসবেন, অ্যাডিলেইড ও মেলবোর্নে এবং জানুয়ারিতে সিডনিতে হবে।
মন্তব্য করুন: