বৃষ্টিতে ম্যাচ পণ্ড হওয়ার আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ কাজে লাগাল বাংলাদেশ
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

টসে হেরে ব্যাট করতে বাধ্য হওয়ায় ব্যাটিংয়ের গভীরতা পরখ করার ভালো একটা সুযোগ পেয়েছিল পাঁচ পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টুয়েন্টি বৃষ্টিতে পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর ম্যাচ থেকে এটাই স্বাগতিকদের জন্য বড় পাওয়া।
টপ অর্ডারের মধ্যে রান পেয়েছেন রানের মধ্যে থাকা লিটন দাসই। অধিনায়কের ফিফটির পর প্রথমবারের মতো সিরিজে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাওয়া নুরুল হাসান সোহান আর জাকের আলীর শেষের দিকে ঝড়ে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান তোলে বাংলাদেশ। বৃষ্টির বাধায় স্বাগতিকদের ইনিংস শেষ হয়েছে ১৮ ওভার ২ বল খেলে।
মাঠ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খেলার উপযুক্ত না হয়ে ওঠায় ব্যাটিংয়ে আর নামতে পারেনি অতিথিরা। ২-০ ব্যবধানে তাই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে দুই ফিফটিতে ১৪৫ রান করে সিরিজ সেরা হয়েছেন লিটন।
গত দুই ম্যাচের ওপেনারদের বিশ্রাম দেওয়ায় ওপেনিংয়ে নামেন লিটন ও সাইফ হাসান। প্রথম ওভারে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিয়ে জীবন পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি সাইফ। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে বাজে শটে বোল্ড হয়ে হয়ে ফেরেন ৮ বলে ১২ রান করে।
পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান তোলে বাংলাদেশ। এরমধ্যে তৃতীয় ওভারে একাই ৩ চার আর ১ ছক্কায় ২২ রান তোলেন লিটন। সাইফকে জীবন দেওয়া শারিজ আহমেদ চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ছাড়েন লিটনের সহজ ক্যাচও।
জীবন পেয়ে সেটা ভালোমতোই কাজে লাগান অধিনায়ক। ২৭ বলে তুলে নেন টি-টুয়েন্টিতে নিজের ১৪তম অর্ধশতক। ১৩ ফিফটি পাওয়া সাকিব আর হাসানকে ছাড়িয়ে এককভাবে হয়ে যান দেশের হয়ে এই সংস্করণে সবচেয়ে বেশি ফিফটির মালিক।
বৃষ্টির বাধায় কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পর পঞ্চম ওভার থেকেই ধীর হয়ে এসেছিল রানের গতি। ছক্কা মারার চেষ্টায় নবম ওভারে ক্যাচ দেন সিরিজে প্রথমবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাওয়া তাওহিদ হৃদয়। কোনো ১৪ বলে কোনো চার ছয় ছাড়া করেন ৯ রান। পঞ্চম থেকে দশম ওভার পর্যন্ত ৬ ওভারে আসে মাত্র ৩৩ রান।
৬৮ রানে আরেকবার জীবন পান লিটন। তবে তৃতীয়বার ক্যাচ দিয়ে ম্যাক্স ও’ডাউডের হাতে ধরা পরেন ৭৩ রানে। ৪৬ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬ চার ও ৪ ছক্কায়। এক বল পরে এই ম্যাচে সিরিজে সুযোগ পাওয়া শামীমকেও (১৯ বলে ২১ রান) আউট করেন কাইল ক্লাইন।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে রানের গতি বাড়ে সোহান আর জাকেরের ব্যাটে। ইনিংসে দ্বিতীয়বার বৃষ্টি নামার আগে তারা ২৩ বলে যোগ করেন ৪২ রান। সোহান ১১ বলে ২২ আর জাকের ১৩ বলে ২০ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।
৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়া বাঁ হাতি স্পিনার টিম প্রিঙ্গল মাঝে রানের গতি থামাতে বড় ভূমিকা রাখেন। কাইল ৩ উইকেট নিলেও দেন ৫৩ রান।
মন্তব্য করুন: