হংকংয়ের বিপক্ষে দুঃস্মৃতি কাটিয়ে এশিয়া কাপ শুরুর অপেক্ষায় বাংলাদেশ
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

২০১৪ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই ফরম্যাটে হংকংয়ের বিপক্ষে কেবল সেবারই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে পঁচা শামুকে পা কেটেছিল স্বাগতিকদের। এবার ১১ বছর পর তাদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই এশিয়া কাপের অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে দারুণ ছন্দে থাকা লিটন দাসের দল।
বৃহস্পতিবার আবু ধাবিতে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপে যাওয়ার আগে নিজেদের খেলা সবশেষ তিনটি টি-টুয়েন্টি সিরিজেই জয় পেয়েছে টাইগাররা। অন্যদিকে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ৯৪ রানে হেরেছে হংকং। ফলে মাঠের লড়াইয়ের আগেই লিটনের দল যে আত্মবিশ্বাসে এগিয়ে আছে তা ধরেই নেওয়া যায়।
তবে এরকম আত্মবিশ্বাসী হয়ে হংকংয়ের বিপক্ষে খেলা একমাত্র টি-টুয়েন্টিতেও মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। সেবার ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে আইসিসির সহযোগী দেশটির মুখোমুখি হয়েছিল তারা। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৬ ওভার ৩ বলে মাত্র ১০৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল মুশফিকুর রহিমের দল। জবাবে ২ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় হংকং। টুর্নামেন্টে সেটিই ছিল তাদের একমাত্র জয়।
গত ১১ বছরে বদলেছে অনেক কিছুই। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসকে টি-টুয়েন্টি সিরিজে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই ফরম্যাটে মারকাটারি ব্যাটিংয়ের যুগে নিজেদের মানিয়ে নিতে শুরু করেছে তারা। আগের বছরগুলোর তুলনায় চলতি বছর দ্রুত রান তোলা ও চার-ছক্কা মারার দিক দিয়ে বেশ এগিয়েছে টাইগাররা।
ব্যাটিংয়ে দল তাকিয়ে থাকবে মূলত লিটন, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন ও জাকের আলীর দিকে। এ বছর এই চারজনই রান তুলেছেন ১৩০ এর বেশি স্ট্রাইক রেটে।
এই বছর সবচেয়ে বেশি ১৫২ দশমিক ৫৬ স্ট্রাইক রেটে ৩৮৬ রান করেছেন ইমন। ওপেনিংয়ে তার সঙ্গী তানজিদ প্রায় ১৩৯ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৪২৫ রান। সবচেয়ে বেশি ৪৯৪ রান করা অধিনায়ক লিটনের স্ট্রাইক রেট ১৩৩ দশমিক ৫১। জাকের ১৩৫ দশমিক ৬৮ স্ট্রাইক রেটে ৩৪৬ রান করেছেন।
পেসার-স্পিনারদের নৈপুণ্যে বোলিংয়েও দারুণ ছন্দে আছে বাংলাদেশ। এ বছর ২২ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে আছেন তাসকিন আহমেদ। ২১ উইকেট নিয়ে তার পরের অবস্থানে আছেন তানজিম হাসান সাকিব। সমান ১৯টি করে উইকেট নিয়েছেন অফ স্পিনার শেখ মাহেদি হাসান ও রিশাদ হোসেন। ১৪টি শিকার ধরেছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
তবে উইকেট শিকারের দিক দিয়ে বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজ পিছিয়ে থাকলেও কিপ্টে বোলিংয়ের দিক দিয়ে তিনি আছেন সবার ওপরে। এই বছর দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্তত ১০ ম্যাচে বল করেছে এমন বোলারদের মধ্যে ওভার প্রতি ৭ রানের কম দেওয়া একমাত্র বোলার হলেন তিনিই। ১০ ইনিংসে ওভার প্রতি মুস্তাফিজ রান দিয়েছেন ৬ দশমিক ৩৩ করে।
নিজেদের প্রথম এশিয়া কাপ জয়ের অভিযান শুরু করতে হংকংকে হারানোর কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশের। ‘বি’ গ্রুপে তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান হওয়ায় সুপার ফোরে ওঠার লড়াইটাও হবে হাড্ডাহাড্ডি। সব মিলিয়ে র্যাঙ্কিংয়ের ২৪ নম্বরে থাকা হংকংয়ের বিপক্ষে বড় জয় দিয়ে আসর শুরু করতে পারলে সে পথে অনেকটাই এগিয়ে যাবে লিটনের দল।
মন্তব্য করুন: