অ্যাশেজে ফিরতে যে পরিকল্পনায় আগাবেন কামিন্স
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পিঠের নিচের অংশের চোট কাটিয়ে আসন্ন অ্যাশেজ সিরিজে খেলতে হলে ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হবে প্যাট কামিন্সকে। সে লক্ষ্যে কাজ করার পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক। এছাড়াও কবে নাগাদ আবার বোলিংয়ে ফিরতে পারবেন, তারও একটি আনুমানিক সময়সীমা জানিয়েছেন তিনি।
গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজ থেকে পিঠের ব্যথায় ভুগছিলেন কামিন্স। সম্প্রতি স্ক্যানে কোমরের হাড়ে চোট ধরা পড়েছে। চিকিৎসকরা ডানহাতি এই পেসারকে কিছুদিন দৌড়ানো ও বোলিং থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
আগামী ২১ নভেম্বর পার্থে শুরু হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্ট। এই ম্যাচে খেলতে হলে যে ফিটনেস টেস্টের পরীক্ষা দিতে হবে তা ভালো করেই জানেন কামিন্স। অজি অধিনায়কের আশা, তিনি এক মাস পর বোলিং শুরু করতে পারবেন।
বুধবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এক অনুষ্ঠানে কামিন্স বলেন, “ধারণা করছি অন্তত এক মাস পর অথবা হয়তো ছয় সপ্তাহ পর আমি বোলিং করতে পারব। তবে এখনও খুব গভীরভাবে ভেবে দেখিনি।”
“এখনও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় আছে, তাই আরও কাছে এলে পরিকল্পনা সাজানো হবে। এই মুহূর্তে কয়েক সপ্তাহ বেশ হালকা অনুশীলন। তেমন দৌড়ানো নেই, বোলিং একেবারেই নেই।"
যদি শেষ পর্যন্ত কামিন্সকে প্রথম টেস্টে মাঠের বাইরে থাকতে হয়, তাহলে তার পরিবর্তে পেসার স্কট বোল্যান্ড সবচেয়ে সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে আছেন। আর অভিজ্ঞ মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড ও নাথান লায়নের একাদশে থাকা প্রায় নিশ্চিত।
অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলিং বিভাগকে যথেষ্ট শক্তিশালী বলে মনে করেন কামিন্স।
“আমরা নিজেদের খুব ভালো অবস্থানে মনে করি। এখানে অনেক পরিকল্পনা থাকে। এটা শুধু এক মাসের ব্যাপার নয়, বরং ১২ মাসের প্রস্তুতি।”
“আশা করছি, জাই রিচার্ডসনের মতো কাউকে গ্রীষ্মে কোনো সময়ে পাওয়া যাবে। (মাইকেল) নেসার, ব্রেন্ডন ডগেট গত বছর স্কোয়াডে ছিল, শন অ্যাবটও আছে। তাই আমি আমাদের গভীরতা নিয়ে সত্যিই আত্মবিশ্বাসী।”
“অবশ্যই এর আগে কিছুটা শেফিল্ড শিল্ড ক্রিকেট এবং সাদা বলের ক্রিকেট আছে, যাতে সবাই প্রস্তুত হয়ে নামতে পারে।”
আগামী অক্টোবরের শুরুতে নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজে মুখোমুখি হবে তারা।
মন্তব্য করুন: