হংকংকে হারিয়ে রানরেট বাড়াতে পারল না শ্রীলঙ্কা

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হংকংকে হারিয়ে রানরেট বাড়াতে পারল না শ্রীলঙ্কা

নিজাকাত খানের ফিফটিতে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পেয়েছিল হংকং। পাতুম নিসাঙ্কা ও কুশল পেরেরার ব্যাটে সহজ জয়ের পথেই ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু দুই ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে খেই হারাতে বসেছিল তারা। তবে শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে জিতে আসরে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে চারিত আসালাঙ্কার দল।

সোমবার দুবাইয়ে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ১৪৯ রানের সংগ্রহ পায় হংকং। জবাবে ৭ বল আগে লক্ষ্যে পৌঁছায় শ্রীলঙ্কা।

টানা দ্বিতীয় ফিফটিতে ৬৮ রান করে ম্যাচসেরা হন নিসাঙ্কা। ডানহাতি এই ওপেনার তার ৪৪ বলের ইনিংসটি সাজান ৬ চার ও ২ ছক্কায়।

‘বি’ গ্রুপে দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে লঙ্কানরা। তাদের নেট রানরেট ১.৫৪৬। এর আগে তাদের রানরেট ছিল ২.৫৯৫। এক ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আফগানিস্তানের রানরেট ৪.৭। আর দুই ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে পরের অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের রানরেট ০.৬৫০।

আগের দুই ম্যাচের ব্যর্থতা ভুলে এদিন ওপেনিংয়ে শুরুটা দুর্দান্ত হয় হংকংয়ের। উদ্বোধনী জুটি থেকে ২৯ বলে আসে ৪১ রান। তবে জিশান আলী (২৩) ফেরার পর কমে আসে রানের গতিও। পরের ২৩ বলে দলের খাতায় যোগ হয় ১৬ রান, হারায় আরেকটি উইকেটও। তৃতীয় উইকেটে আনশি রথ ও নিজকাতের ৬১ রানের জুটিতে লড়াই করার মতো সংগ্রহের ভিত পায় তারা। ৪৮ রান করে ফেরেন রথ।

শেষ দিকে নিজকাতের একক প্রচেষ্টায় দেড়শর কাছাকাছি পৌঁছায় হংকং। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটিতে ডানহাতি এই ব্যাটার ৩৮ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন।

লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটি থেকে ২৬ রান আসে শ্রীলঙ্কার। কামিল মিশারার (১৯) সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলের খাতায় আরও ৩৬ রান যোগ করেন নিসাঙ্কা। তৃতীয় উইকেটে পেরেরাকে নিয়ে দলকে সহজ জয়ের পথে রাখেন তিনি। কিন্তু ১৫তম ওভারের প্রথম বলে নিসাঙ্কা রানআউটে কাটা পড়লে নাটকীয়তার আভাস পাওয়া যায়। ইয়াসিম মুর্তজার পরের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন পেরেরা।

পরের দুই ওভারে সাজঘরের পথ দেখেন আসালাঙ্কা ও কামিন্দু মেন্ডিস। ৮ রানের ভেতর ৪ উইকেট হারিয়ে দারুণ চাপে পড়ে লঙ্কানরা। জয়ের জন্য তখনও ১৬ বলে দরকার ছিল ২২ রানের। তবে ১৮তম ওভারে মুর্তজার এক নো বলে বদলে যায় সেই চিত্র। ফ্রি হিট থেকে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে চাপমুক্ত করেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। পরের ওভারে পরপর দুটি চার মেরে দলকে জেতান তিনি। ডানহাতি এই ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ২০ রানে।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]

মন্তব্য করুন: