আফগান স্পিন সামলে মাঝের ওভারে ভালো করার পরিকল্পনা বাংলাদেশ

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগান স্পিন সামলে মাঝের ওভারে ভালো করার পরিকল্পনা বাংলাদেশ

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের টিকে থাকার লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে আফগানিস্তানের স্পিনাররা। রশিদ খান-নূর মোহাম্মদদের নিয়ে গড়া স্পিন লাইনআপ দলকে যে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলবে তা জানেন টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে স্পিনারদের বিপক্ষে মাঝের ওভারগুলোতে ব্যাটারদের দায়িত্ব নিতে হবে মনে করছেন তিনি।

মঙ্গলবার আবু ধাবিতেবিগ্রুপে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সুপার ফোরের আশা টিকিয়ে রাখতে এই ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প নেই লিটন দাসের দলের। অন্যদিকে হারলেই বিদায় নিতে হবে তাদের।

২০২৪ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে দুদলের সবশেষ দেখায় বৃষ্টি আইনে ১৯ ওভারে আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে ব্যর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে আফগান স্পিনারদের ১০ ওভারে ৫১ রান তুলতে উইকেট হারিয়েছিল তারা।

অন্যদিকে এশিয়া কাপের এবারের আসরে দারুণ ছন্দে আছেন স্পিনাররাই। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে রশিদ-নূরদের ঘূর্ণিতে হংকংকে একশর আগে থামিয়ে বড় জয়ে নেট রানরেট অনেকটা বাড়িয়ে নিয়েছে আফগানরা। সব মিলিয়ে তাদের স্পিনারদেরকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন মুশতাক।

সোমবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “বড় চ্যালেঞ্জ ওদের স্পিন ডিপার্টমেন্ট। বিশেষ করে মাঝখানের ওভারগুলোতে। যদি এটা সামলাতে পারি, ভালো একটা রান তুলতে পারি, ওদের চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারব। আমাদের বোলিংও কিন্তু খুব ভালো। তবে মাঝের ওভার নিয়েই আমার চিন্তা।

গত ম্যাচে আফগানিস্তানের মূল স্পিনার হিসেবে রশিদের সঙ্গে খেলেছিলেন এএম গাজানফার নূর আহমেদ। বাড়তি অপশন হিসেবে ছিলেন মোহাম্মদ নবী। তবে প্রতিপক্ষ শিবিরে স্পিন আক্রমণে বৈচিত্র্য থাকলেও নিজ শিষ্যদের ওপর আস্থা আছে মুশতাকের।

ওদের রশিদ অন্যরা আছে। তারা গত ১৫-২০ বছর ধরে খেলছে। অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ওরা এগিয়ে। তার মানে এই নয় আমাদের স্পিনারদের ওপর আমাদের আস্থা নেই। পরিসংখ্যান দেখুন, আমাদের স্পিনাররা মাঝের ওভারে ম্যাচ জেতায়। আমাদের শক্তির জায়গাটা মাথায় রাখতে হবে। তাহলে স্পিন বিভাগ ভালো করবে।

গত বছর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহক ছিলেন তাওহিদ হৃদয়। ২০ ইনিংসে ১৩০ স্ট্রাইক রেট তিন ফিফটিতে ডানহাতি এই ব্যাটার ৪৯৩ রান করেছিলেন। তবে চলতি বছরে নিজেকে যেন হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। ১৪ ইনিংসের একটিতেও ফিফটির দেখা পাননি। রান তুলেছেন ১০৮ স্ট্রাইক রেটে।

সব ক্রিকেটারই কোনো না কোনো সময় ছন্দহীনতায় ভুগেন জানিয়ে মুশতাক জানান, তারা হৃদয়কে এই অবস্থা থেকে বের করার চেষ্টা করছেন।

আমাদের কাজ হলো এটা তাকে মনে করানো যে, সে গত বছর সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহক ছিল। সে বাংলাদেশের ম্যাচ উইনার। তাই এমনটা হতেই পারে। যখন আপনি কোনো কিছু প্রত্যাশা করেন, এটা কখনও কখনও নিজের মধ্যে সন্দেহ তৈরি করে। কোচ হিসেবে এটা আমাদের কাজ যে, তার মানসিকতা এই অবস্থা থেকে বের করে সেই জায়গায় নিয়ে যাওয়া যেখানে সে স্বচ্ছন্দে খেলতে পারত, ক্রিকেটটা উপভোগ করত।

মন্তব্য করুন: