শ্রীলঙ্কার দুর্দান্ত জয়ে সুপার ফোরে বাংলাদেশ
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মোহাম্মদ নবীর শেষের তাণ্ডবে বড় সংগ্রহ গড়েছিল আফগানিস্তান। তবে কুশল মেন্ডিসের ফিফটিতে দুর্দান্ত জয়ে সুপার ফোরে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। আর তাতে পরের রাউন্ডে উঠে গেছে বাংলাদেশও।
আবু ধাবিতে ‘এ গ্রুপের শেষ ম্যাচে নবীর ঝড়ো ফিফটিতে ৮ উইকেটে ১৬৯ রানের সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান। লক্ষ্য তাড়ায় ১০১ রান করতে পারলেই সুপার ফোর নিশ্চিত হতো শ্রীলঙ্কার। তবে ৮ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
আফগানিস্তান বড় স্কোর করে ফেলার পর বাংলাদেশের সামনে সমীকরণ ছিল দুটো। হয় শ্রীলঙ্কার জয় অথবা ১০০ বা এর কম রানের নীচে তাদের গুটিয়ে যাওয়া। তবে শুরু থেকেই লঙ্কানদের আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে বোঝাই যাচ্ছিল শুধু ১০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই খেলছে না তারা। তাই বাংলাদেশের সমর্থকদের শেষ পর্যন্ত দেখার বিষয় ছিল আফগান স্পিনারদের সামলে জিততে তারা পারবে কিনা।
পঞ্চম উইকেটে কুশলের সঙ্গে কামিন্দু মেন্ডিসের ২৩ বলে ৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে স্বচ্ছন্দেই লক্ষ্যে পৌঁছায় লঙ্কানরা। টানা তিন জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সুপার ফোরে উঠল চারিত আসালাঙ্কার দল। তিন ম্যাচে দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ বাংলাদেশ। এক জয়ে আফগানদের পয়েন্ট ২।
ক্যারিয়ারের ১৭তম ফিফটিতে জয়ের নায়ক কুশল ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ডানহাতি এই ওপেনার তার ম্যাচসেরা পুরস্কার পাওয়া ৫২ বলের ইনিংসটি সাজান ১০টি চারে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানদের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। নুয়ান তুশারার পেস তোপে পাওয়ারপ্লের ভেতর তিন টপ-অর্ডারকেই হারায় তারা। প্রথম ৬ ওভার শেষে দলের খাতায় যোগ হয় ৪৫ রান।
এরপর কমে আসে রানের গতিও। চতুর্থ উইকেটে ২৪ রানের জুটি গড়তে ইবরাহিম জাদরান ও দারউইশ রাসুল খেলেন ৩৪ বল। এই জুটি ভাঙতেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে শুরু করে আফগানরা। ২৪ রান করা রশিদ খানের বিদায়ের সময় তো মনে হচ্ছিল দেড়শও করতে পারবে না তারা। কিন্তু শেষ দুই ওভারে সব সমীকরণ বদলে দেন নবী একাই।
দুশমন্ত চামিরার ১৯তম ওভারে নূর আহমেদকে নিয়ে ৩ চারে দলের খাতায় ১৭ রান যোগ করেন ৪০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। ব্যক্তিগত ৬ রানে তাকে জীবন দেওয়া দুনিত ভেল্লালাগের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ৫ ছক্কায় তোলেন ৩২ রান। ২২ বলে ৬০ রান করে ইনিংসের শেষ বলে রানআউটে কাটা পড়েন নবী। শেষ দুই ওভারে দলের খাতায় যোগ হয় ৪৯ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় আগের দুই ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো পাতুম নিসাঙ্কা ফেরেন ৬ রান করে। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে কামিল মিশারা ফেরেন ১০ বলে ৪ রান করে। তৃতীয় উইকেটে কুশল পেরেরার সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন কুশল।
পেরেরার (২৮) বিদায়ের পর অধিনায়ক আসালাঙ্কাকে নিয়ে দলের সুপার ফোর নিশ্চিত করেন তিনি। এরপর ৪০ বলে তুলে নেন ফিফটি। ডিপ মিড উইকেটে রশিদের দুর্দান্ত ক্যাচে আসালাঙ্কার (১৭) বিদায়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল তারা। তবে শেষ পর্যন্ত কুশল-কামিন্দুর নৈপুণ্যে ১৯তম ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছায় শ্রীলঙ্কা। ১৩ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন কামিন্দু।
[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]
মন্তব্য করুন: