শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তানের প্রথম জয়

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তানের প্রথম জয়

শুরুর বিপর্যয় সামলে কামিন্দু মেন্ডিসের ফিফটিতে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। রান তাড়ায় স্পিনারদের নৈপুণ্যে ১২ রানের ভেতর শুরুর চার ব্যাটারকে তুলে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে আনার চেষ্টায় ছিল তারা। কিন্তু হুসেইন তালাত ও মোহাম্মদ নাওয়াজের দৃঢ়তায় তা আর হয়নি। ৫ উইকেটের সুপার ফোরে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান।

মঙ্গলবার আবু ধাবিতে কামিন্দুর ৫০ রানের সুবাদে ৮ উইকেটে ১৩৩ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ১২ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় সালমান আলী আগার দল।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শাহিন শাহ আফ্রিদির পেস তোপে প্রথম তিন ওভারের ভেতর ছন্দে থাকা দুই ওপেনার কুশল মেন্ডিস (০) ও পাতুম নিসাঙ্কাকে (৮) হারায় শ্রীলঙ্কা। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে কুশল পেরেরাকে (১৫) তুলে নেন হারিস রউফ। কামিন্দুকে নিয়ে অধিনায়ক চারিত আসালাঙ্কা দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও বেশি দূর যেতে পারেননি।

অষ্টম ওভারে মিডিয়াম পেসে আসালাঙ্কা (২০) ও পরের বলে দাসুন শানাকাকে তুলে নিয়ে লঙ্কানদের চাপ আরও বাড়িয়ে দেন হুসেইন তালাত। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে (১৫) ফিরিয়ে ষষ্ঠ উইকেটের ২২ রানের জুটি থামান আবরার আহমেদ। এরপর চামিকা করুণাত্নেকে নিয়ে জুটি বেধে দলকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দেন কামিন্দু। তবে ৪৩ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পরের বলেই শাহিনের শিকার হয়ে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ভাঙে সপ্তম উইকেটের ৪৩ রানের জুটিটি। শেষ পর্যন্ত করুণাত্নে অপরাজিত থাকেন ১৭ রানে।

শাহিনের শিকার ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন হারিস ও তালাত।

লক্ষ্য তাড়ায় পাকিস্তানকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন সাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান। কিন্তু পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে জোড়া আঘাতে এই দুই ওপেনারকে তুলে নিয়ে সব তছনছ করে দেন মাহিশ তিকশানা। ওভারের তৃতীয় বলে ফারহানকে (২৪) ফিরিয়ে এই অফস্পিনার ভাঙেন ৪৫ রানের উদ্বোধনী জুটি, পরের বলে তুলে নেন ফখরকেও (১৭)। পরের ওভারেই সাইম আইয়ুবকে (২) বোল্ড করেন হাসারাঙ্গা। এক ওভার পর অধিনায়ক সালমানকে (৫) এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন এই লেগ স্পিনার।

তালাত-মোহাম্মদ হারিস মিলে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। হারিসকে (১৩) ফিরিয়ে ২৩ রানের জুটি ভাঙেন দুশমন্ত চামিরা। ষষ্ঠ উইকেটে ৫৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে বাকি পথটুকু পাড়ি দেন তালাত-নাওয়াজ। ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেওয়া নাওয়াজ অপরাজিত থাকেন ৩৮ রানে। বাঁহাতি এই ব্যাটার তার ২৪ বলের ইনিংসটি সাজান তিনটি করে চার ও ছক্কায়। ৩০ বলে ৪ চারে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন তালাত। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]

মন্তব্য করুন: