ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পাকিস্তানকে ১৩৫ রানে আটকাল বাংলাদেশ

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পাকিস্তানকে ১৩৫ রানে আটকাল বাংলাদেশ

তাসকিন আহমেদ-রিশাদ হোসেনের নৈপুণ্যে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল পাকিস্তান। তবে শেষ দিকের ব্যাটারদের দৃঢ়তায় লড়াই করার মতো সংগ্রহ পেয়েছে তারা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ১৩৬ রানের লক্ষ্যে পেয়েছে টাইগাররা।

বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে অলিখিত সেমি-ফাইনালে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। প্রথম ১০ ওভারে ৪৬ রান তুলতে ৪ উইকেট হারানো দলটি শেষ ১০ ওভারে তোলে ৮৯ রান।

৪ ওভারে ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। রিশাদ ও শেখ মাহেদি হাসানের শিকার দুটি করে উইকেট।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ রানের আগেই শুরুর পাঁচ ব্যাটারকে হারায় পাকিস্তান, প্রথম ওভারে যার শুরুটা করেন তাসকিন। চতুর্থ বলে সাহিবজাদা ফারহানকে (৪) তুলে নিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে নিজের শততম উইকেটটি নেন ডানহাতি এই পেসার। পয়েন্ট অঞ্চলে ক্যাচ নেন রিশাদ।

পরের ওভারে তার ক্যাচে সাইম আইয়ুবকে (০) ফেরান মাহেদি। এবারের এশিয়া কাপের ৬ ইনিংসের মধ্যে ৪টিতেই শূন্য রানে আউট হলেন সাইম। পাওয়ারপ্লেতে এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি পাকিস্তান।

সপ্তম ওভারে বল হাতে নিয়েই ফখর জামানকে (১৩) তুলে নেন রিশাদ। নিজের পরের ওভারে এই লেগ স্পিনার ফেরান হুসাইন তালাতকে (৩)। এরপর উইকেট শিকারে যোগ দেন মুস্তাফিজুর রহমান। একাদশতম ওভারে অধিনায়ক সালমান আলী আগাকে (১৯) কট বিহাইন্ড করান তিনি।

৪৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান চাপে পড়লেও ফিল্ডিংয়ে যেন কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। রিশাদের করা পরের ওভারেই দুটি জীবন পান ব্যাটিং অর্ডারে উপরে নামা শাহিন শাহ আফ্রিদি। ওভারের প্রথম বলে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ক্যাচ তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন নুরুল হাসান সোহান। দুই বল পর দ্বিতীয় ক্যাচটি ছাড়েন মাহেদি। সে সময় ৪ রানে ছিলেন শাহিন।

দুটি জীবন পাওয়া এই ব্যাটার ১৯ রান করে আউট হন। তাসকিনের বলে উইকেটের পেছন থেকে অনেকটা দৌড়ে এসে ক্যাচ নেন জাকের আলী। এই ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারির কাছে মোহাম্মদ নাওয়াজের ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন পারভেজ হোসেন ইমন। পরে সেটি চার হয়ে যায়।

এরপর মোহাম্মাদ হারিস ও নাওয়াজের ৩৮ রানের জুটিতে একশ পার করে পাকিস্তান। ফিরতি ক্যাচে হারিসকে (৩১) ফিরিয়ে সপ্তম উইকেটের ৩৮ রানের এই জুটি ভাঙেন মাহেদি। ২৫ করা নাওয়াজকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় শিকার ধরেন তাসকিন। শেষ পর্যন্ত ফাহিম আশরাফের অপরাজিত ১৪ রানে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]

মন্তব্য করুন: