ব্যাটারদের বাজে সিদ্ধান্তে ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ: সিমন্স
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার জন্য বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যটা ছিল শুধুই ১৩৬ রানের। ছিল না নেট রানরেটের কোনো হিসেব-নিকেশও। কিন্তু রান তাড়ায় ব্যাটাররা এমনভাবে ব্যাট চালাতে শুরু করেছিলেন যেন ম্যাচ শেষ করতে হবে দ্রুত। আর এতেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে দলকে। ম্যাচ শেষে এর কারণ হিসেবে ব্যাটারদের বাজে সিদ্ধান্তকে দায়ী করছেন হেড কোচ ফিল সিমন্স।
বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে এবারের এশিয়া কাপের অলিখিত সেমি-ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ১১ রানে হারে বাংলাদেশ। বোলারদের নৈপুণ্যে প্রতিপক্ষকে ১৩৫ রানে আটকাতে পারলেও হতশ্রী ব্যাটিংয়ে ৯ উইকেটে ১২৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় এদিন শুরু থেকেই ব্যাটারদের মধ্যে তাড়াহুড়োর মনোভাব লক্ষ্য করা যায়। পাওয়ারপ্লের ভেতর তিন টপ-অর্ডারকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু পরের ব্যাটাররা উইকেটে টিকে থেকে চাপ সামলানোর বদলে আগ্রাসী মেজাজে খেলতে গিয়ে নিয়মিত ডট বল খেলতে থাকেন। পরবর্তীতে রান রেটের চাপে মেরে খেলতে গিয়ে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন তারা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিমন্সের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ব্যাটারকে দ্রুত ম্যাচ শেষ করার কোনো বার্তা দেওয়া হয়েছিল কি না? জবাবে বাংলাদেশ হেড কোচ বলেন, “না, আমাদের কোনো নির্দিষ্ট ওভারের মধ্যে তাড়া করার দরকার ছিল না। আমাদের শুধু ম্যাচ জিততে হতো।”
তবে এরপরও ব্যাটারদের এমন ব্যাটিংয়ের কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “ব্যাটাররা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। সব দলকেই কোনো না কোনো সময় এমন দিনের মুখোমুখি হতে হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) আমাদের তেমন দিন গেল। আমাদের সিদ্ধান্ত আর শট নির্বাচন ভালো হয়নি।”
চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় এই ম্যাচেও খেলতে পারেননি নিয়মিত অধিনায়ক লিটন দাস। ফলে একপ্রকার কোনো বিশেষজ্ঞ মিডল-অর্ডার ব্যাটার ছাড়াই একাদশ সাজায় দল। নিয়মিত চার নম্বরে খেলা তাওহিদ হৃদয় নামেন তিন নম্বরে। ফলে এদিন তার জায়গায় খেলার সুযোগ হয় শেখ মাহেদি হাসানের। কিন্তু ব্যাটিং-অর্ডারের উপরে খেলার সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন তিনি। ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে ফেরেন ১০ বলে ১১ রান করে।
এর আগে পুরো টি-টুয়েন্টিতে ব্যাট হাতে ১১ গড় ও ১০০ স্ট্রাইক রেটে খেলা মাহেদিকে ৪ নম্বরে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর প্রসঙ্গে সিমন্স বলেন, “আপনি এটাকে ৪ নম্বর হিসেবে দেখছেন। আমি দেখেছি, এমন একজনকে পাঠানো হচ্ছে, যিনি তখন পেসারদের সামলাতে পারতেন। তখনও পাওয়ারপ্লে চলছিল, তাই সে ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে বেশি খেলতে পারত। যদি তাকে নিচে পাঠাতাম, তাহলে শুধু স্পিনারদেরই মুখোমুখি হতো। আমার কাছে তখনও জাকের আর শামীম ছিল, যারা স্পিনারদের আরও ভালো খেলে। এই ছিল পেছনের চিন্তাভাবনা।”
মন্তব্য করুন: