বাংলাদেশের সামনে চোট-জর্জরিত শ্রীলঙ্কা
৩০ আগস্ট ২০২৩
এশিয়া কাপের আগে চোটের খবর আসছিল দুই দল থেকেই। তবে ক্রিকেটারদের ছিটকে পড়া নিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছে সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কাই। মূল পেসারদের ছাড়াই স্বাগতিকদের মোকাবেলা করতে হবে বাংলাদেশের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপকে।
তবে বাংলাদেশের শঙ্কার জায়গাটা অবশ্য ব্যাটিং নিয়েই, বিশেষ করে ওপেনিংয়ে। সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল আগে থেকেই নেই। ভাইরাল জ্বরের কারণে এশিয়া কাপ দল থেকে বাদ পড়লেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। এ সময়ে বাংলাদেশের সেরা এই ব্যাটসম্যানের অভাব তার বিকল্প হিসেবে ডাক পাওয়া এনামুল হক বিজয়কে দিয়ে পূরণ না হওয়ারই কথা।
তবে চোট ছাড়াও মাঠের বাইরের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মাস দুয়েক থেকেই আলোচনায় রয়েছে দলটি। যার শুরু জুলাইয়ে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচের পর। ওডিআই ফরম্যাটে দলের নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল সরে আসেন তার দায়িত্ব থেকে। পরে টি-টোয়েন্টি আর টেস্টের নেতৃত্বে থাকা সাকিব আল হাসানকে দায়িত্ব দেয়া হয় এক দিনের ম্যাচেও।
সবশেষ ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজে হারলেও, এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দল। তরুণ ও অভিজ্ঞদের মিলিয়ে সাকিব-হৃদয়রা এশিয়া কাপে আছেন শক্ত অবস্থানেই। পাল্লেকেলেতে সুবিধা পেতে পারেন স্পিনাররা। এক দিনের ম্যাচের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবের সঙ্গে ভালোভাবেই তাল মেলাবেন আইসিসি ওডিআই অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের নয়ে থাকা মেহেদী হাসান।
পেস আক্রমণেও পিছিয়ে নেই টাইগাররা। অভিজ্ঞ তাসকিন-মুস্তাফিজদের সঙ্গে আছেন তরুণ হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম। এসিএলের চোটে ছিটকে গেছেন এ সময়ে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পেসার ইবাদত হোসেন। তার বদলি হিসেবে দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন আরেক পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
লিটন, তামিমের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতিতে হতাশার কথা লুকাননি সাকিব। তবে দলে যথেষ্ট প্রতিভা আছে বলে মনে করেন অধিনায়ক।
টুর্নামেন্টের বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচকে সামনে রেখে এক সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, “অবশ্যই, এটি (সিনিয়র খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতি) একটি বড় মিস। আপনি যদি লিটনের কথা বলেন, গত চার থেকে পাঁচ বছর ধরে তিনি দলের অংশ ছিলেন এবং দলের হয়ে ধারাবাহিকভাবে ভালো করছেন।”
বাংলাদেশ যদি অভিজ্ঞ দুই ব্যাটারের অনুপস্থিতি অনুভব করে তবে শ্রীলঙ্কা আরও বেশি মিস করবে অভিজ্ঞ বোলারদের। চোটের কারণে দলে নেই মূল তিন পেসার দুশমান্তা চামিরা, দিলশান মাদুশঙ্কা ও লাহিরু কুমারা যারা ঘণ্টায় ১৪৫ কিমি বেগে বল করতে পারেন।
এছাড়াও দলে নেই শ্রীলঙ্কার তারকা লেগস্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। সবশেষ লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে দারুণ ছন্দে ছিলেন এই অলরাউন্ডার।
তবে ওডিআইতে বর্তমানে বেশ ভালো ফর্মে আছে শ্রীলঙ্কা। জুনে নিজেদের মাঠে ওডিআই সিরিজে আফগানিস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারানোর পর ২০২৩ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করে নেয় এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
দাসুন শানাকার দলকে ম্যাচ জিততে প্রাথমিকভাবে এখন ব্যাটারদের উপর নির্ভর করতে হবে স্বাগতিকদের। সাম্প্রতিক সময়ে এই বিভাগেই বেশি সফলতা পেয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার পাল্লেকেলেতে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে তিনটায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন: