নেপালকে উড়িয়ে এশিয়া কাপ শুরু পাকিস্তানের
৩০ আগস্ট ২০২৩

বাবর আজম ও ইফতিখার আহমেদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের নৈপুণ্যে নেপালকে ২৩৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়া কাপে শুভ সূচনা করেছে ওয়ানডের এক নম্বর দল পাকিস্তান।
বুধবার মুলতানে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪২ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি বোলারদের তোপে ২৩ ওভার ৪ বলে মাত্র ১০৪ রানে গুটিয়ে যায় নেপালের ইনিংস।
ইনিংসের প্রথম দুই বলেই সময়ের সেরা বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে দুটি চার মারেন নেপালের উদ্বোধনী ব্যাটার কুশল ভুরতাল। কিন্তু সেই শুরু বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি নেপাল। ওভারের পঞ্চম বলেই শাহিনের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ভুরতাল। পরের বলেই নেপাল অধিনায়ককে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন শাহিন।
নেপালের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন শাহিন আর নাসিম শাহ। আর লেজ গুটিয়ে দেন শাদাব খান।

নেপালের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন শাহিন আর নাসিম শাহ
নেপালের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন সোমপাল। ২৭ রানে চার উইকেট নেন শাদাব। পেসার শাহিন ও হারিস দুটি করে উইকেট নেন।
এর আগে প্রথম ইনিংসে টস জিতে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানকে শুরুতেই চেপে ধরে নেপাল। ২৫ রানের মধ্যেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটার ফখর জামান ও ইমাম-উল-হককে হারায় পাকিস্তান। দলের প্রাথমিক চাপ সামাল দেন অধিনায়ক বাবর ও উইকেট-কিপার মোহাম্মদ রিজওয়ান।
দলীয় ১১১ রানে রিজওয়ান রান-আউটে কাটা পড়লে ভাঙে তাদের ৮৬ রানের জুটি। ১২৪ রানে আগা সালমানের উইকেট হারালে আবার চাপে পড়ে পাকিস্তান।

ইফতিখার ও বাবরের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকে পাকিস্তান
৫৫ রানে জীবন পাওয়া বাবর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম শতক তুলে নেন ১০৯ বলে। ১৩১ বলে ১৪ চার ও চার ছক্কায় ১৫১ রানে আউট হন একদিনের ক্রিকেটের এক নম্বর ব্যাটার।
পঞ্চম উইকেটে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২১৪ রানের জুটি গড়েন বাবর ও ইফতিখার। শেষ ১০ ওভারেই আসে ১২৯ রান।
বোলিংয়ে নেপালের হয়ে কেউই তেমন সুবিধা করতে পারেননি। ১০ ওভারে ৮৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন পেসার সোমপাল কামি।
ম্যাচ সেরা হয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।
এশিয়া কাপের পরের ম্যাচে বৃহস্পতিবার পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে]
মন্তব্য করুন: