বাংলাদেশের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর পিচের সমালোচনায় পাকিস্তান
২১ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টুয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে থেকেই আলোচনায় ছিল মিরপুরের উইকেট। বাংলাদেশের কাছে বড় হারের পর পিচের ধরণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলেছেন সফরকারীদের অধিনায়ক ও কোচ।
রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের দেওয়া ১১১ রানের লক্ষ্য ২৭ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে তাড়া করে বাংলাদেশ। ৩৯ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন পারভেজ হোসেন ইমন।
বাংলাদেশের জয়ের ভিতটা মূলত গড়ে দেন বোলাররাই। দুর্দান্ত শুরু পাওয়া পাকিস্তানের রানের লাগাম টেনে ধরে তাদের ১১০ রানে গুটিয়ে দেন তাসকিন-মুস্তাফিজরা। তবে এক্ষেত্রে অবদান আছে ফিল্ডারদেরও। পাকিস্তানের তিনজন ব্যাটার সাজঘরের পথ দেখেন রানআউটে কাটা পড়ে।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বড় সংগ্রহ গড়তে না পারার জন্য নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোকে দায়ী করা পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা পিচ নিয়ে বলেন, “আপনি যখনই বাংলাদেশে আসবেন এরকম পিচই আশা করবেন, যেমনটা বাংলাদেশে হয়। উন্নতমানের পিচ আপনি খুব কমই পাবেন। আমরাও এটা ধারণা করছিলাম। তবে আমরা একদমই ভালো করতে পারিনি। আমাদের আরও বেশি স্ট্রাইক রোটেট করা দরকার ছিল। বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করব।”
সংবাদ সম্মেলনে পিচ নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন সফরকারীদের কোচ মাইক হেসেনও। তার মতে, এশিয়া কাপ ও টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য এরকম পিচ আদর্শ হতে পারে না।
“আমার মনে হয় না এমন উইকেট কাউকে সাহায্য করবে। সবাই এশিয়া কাপ বা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হতে যাচ্ছে। এটা আসলে মেনে নেওয়া যায় না। তবে ব্যাট হাতে আমরা যেসব বাজে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেসব ব্যাপারে অজুহাত দিতে চাচ্ছি না। তবে এটা কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক মানের উইকেট নয়।”
ফখর জামানের ব্যাটে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল পাকিস্তান। পাওয়ারপ্লেতেই দলের খাতায় যোগ হয় ৪১ রান। কিন্তু ৪ উইকেট হারানোয় চাপেই পড়ে তারা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করা ফখরের আগ্রাসী শুরুর কারণে পিচ সম্পর্কে দল ভুল বার্তা পেয়েছিল বলে দাবি করেন হেসন।
“নিঃসন্দেহে আমরা শুরুটা বেশ ভালোভাবে করেছিলাম। সেটা মূলত ফাখার জামানের চার-পাঁচটি চমৎকার শটের ফল। এতে উইকেটের প্রকৃতি সম্পর্কে কিছুটা ভুল ধারণা তৈরি হয়েছিল। এরপর মাঝখানে আমরা নিজেরাই নিজেদের বিপদে ফেলেছি।”
“আমরা কিছু বাজে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যখন বল হুট করে ঢুকে যেতে লাগল, হঠাৎ হঠাৎ লাফাতে লাগল, তখন কাজটা আসলে কঠিন হয়ে ওঠে। সেটা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারিনি। উল্টো ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতে গিয়েছি। মাঝখানে কয়েকটি রানআউট, বিশেষ করে একজন সেট ব্যাটারকে হারানো, দলের অবস্থাকে আরও কঠিন করে তোলে।”
মন্তব্য করুন: