নাটকীয় ম্যাচে আফগানদের থামিয়ে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা

৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নাটকীয় ম্যাচে আফগানদের থামিয়ে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা

এমনিতেই জেতার লক্ষ্য ছিল বড়। আর সুপারফোরে ওঠার লক্ষ্যটাতো বলতে গেলে ছিল অসম্ভব। সেই সমীকরণ মেলতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত জয়টা হাতছাড়া করলো আফগানিস্তান। মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খানের অসাধ্য সাধনের চেষ্টা থামিয়ে মাত্র ২ রানে জিতে সুপারফোরে উঠে গেল শ্রীলঙ্কা।

জয়ের জন্য আফগানদের লক্ষ্য ছিল ২৯২ রানের । তবে সুপার ফোরে উঠতে এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হতো ৩৭ ওভার ১ বলের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত আফগানদের ইনিংস থামে ৩৭ ওভার ৪ বলে ২৮৯ রানে।

তবে নেট রানরেটের সমীকরণে ৩৭ ওভার ৪ বলে ২৯৫ রান করতে পারলেও সুপার ফোরে যেতে পারতো নবী-রশিদরা। কিন্তু আফগান টিম ম্যানেজমেন্ট সম্ভবত এ সম্পর্কে অবগত ছিল না। জানতো না ক্রিজের অপর প্রান্তে থাকা রশিদ খানও। তাই মুজিব আউট হবার পর হাল ছেড়ে দেন তিনি। স্ট্রাইক নেবারও চেষ্টা করেননি। শেষ ব্যাটার ফারুকী দুই বল নষ্ট করে তৃতীয় বলে আউট হলে জয়ের পাশাপাশি পরের রাউন্ডে ওঠার সুযোগও হাত ছাড়া করে আফগানরা।

মঙ্গলবার গ্রুপ “বি” থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার ফোরে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামে সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৭ রানের মধ্যেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটারকে তুলে নেন লঙ্কান পেসার কাসুন রাজিতা। ওয়ান-ডাউনে নামা গুলবদিন নাইবও ২২ রানের বেশী করতে পারেননি। ৫০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারানো আফগানদের হাল ধরেন অভিজ্ঞ রহমত শাহ্ ও অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি।

মুজিব আউট হবার পর হাল ছেড়ে দেন রশিদ৭১ রানের জুটি গড়ে রহমত ফিরলে ক্রিজে আসেন নবী। এসেই লঙ্কান বোলারদের ওপর ঝড় তোলেন এই অভিজ্ঞ অল রাউন্ডার। ২৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় আফগানদের হয়ে দ্রুততম অর্ধ-শতক হাঁকিয়ে শেষ পর্যন্ত ৬৫ রানে থামেন তিনি।

দলীয় ২৩৭ রানে অধিনায়ক শহীদি আউট হলেও নির্ধারিত ওভারের মধ্যে আফগানদের জয়ের আশা জিইয়ে রাখে নাজিবুল্লাহ জাদরান ও রশিদ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লঙ্কান বোলারদের সাথে পেরে ওঠেনি আফগান ব্যাটাররা।

লঙ্কানদের হয়ে ৪ উইকেট নেন রাজিতা। ২টি করে উইকেট নেন দুনিত ভেল্লালাগে ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।

দিনের শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে ভালো শুরু এনে দেন দুই লঙ্কান ওপেনার পাতুম নিসাঙ্কা ও দিমুথ করুনারত্নে। করুনারত্নেকে ফিরিয়ে ৬৩ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন নাইব। দলীয় ৮০ রানে আরেক ওপেনার ৪১ রান করা নিসাঙ্কাকেও সাজঘরে ফেরান নাইব। গত ম্যাচে অর্ধ-শতক হাকানো সাদিরা সামারাবিক্রমাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।

তিন ওভারের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়া লংকানদের হাল ধরেন উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিস ও চারিত আসালাঙ্কা। দুজনের শতরানের জুটিতে বড় সংগ্রহের দিকে এগুতে থাকে এশিয়া কাপের সহ-আয়োজক দেশটি। দলীয় ১৮৮ রানে রশিদের বলে তার হাতেই আসালাঙ্কা ক্যাচ তুলে দিলে ভাঙে ১০২ রানের জুটি।

৪০তম ওভারে রান আউটে কাটা পড়ে শতক বঞ্চিত হন মেন্ডিস। ৮৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৯২ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ম্যাচসেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটার। একই ওভারে লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে বোল্ড করেন রশিদ। শেষ পর্যন্ত দুই লোয়ার-অর্ডার ব্যাটার ভেল্লালাগে ও মহীশ তিকশানার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ২৯১ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা।

৬০ রানে ৪ উইকেট নেন নাইব ও ৬৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন রশিদ।

বুধবার সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে]

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Add