মুশফিক ফরচুন বরিশালে, দল পাননি মমিনুল-সাব্বির
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরের প্লেয়ার ড্রাফটে 'এ' ক্যাটাগরিতে থাকা একমাত্র দেশি ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমকে দলে ভিড়িয়েছে ফরচুন বরিশাল। এছাড়াও সৌম্য সরকার, তাইজুল ইসলামের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের দলের নিয়েছে ২০২২ আসরের রানার্স-আপ ফ্রাঞ্চাইজিটি।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় বিপিএল ২০২৪ আসরের প্লেয়ার ড্রাফট। তবে এর আগেই বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়দের সরাসরি দলে নিয়ে নিয়েছিল ফ্রাঞ্চাইজিগুলো।
দেশি-বিদেশি মিলিয়ে এদিন মোট ৬৭ জন খেলোয়াড়দের দলে নিয়েছে টুর্নামেন্টের সাত দল। ড্রাফটে সর্বোচ্চ ১৩ জন খেলোয়াড় কিনেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
তবে এদিন দল পাননি মোহাম্মদ আশরাফুল, সাব্বির রহমান, মমিনুল হকের মতো ক্রিকেটাররা।
৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা (১ ডলার= ১১০ টাকা) ব্যয়ে খেলোয়াড় কেনায় (ডিরেক্ট সাইনিং বাদে) এদিন সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে টুর্নামেন্টে চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। অন্যদিকে সবচেয়ে কম খরচ করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আটজন খেলোয়াড়কে দলে নিতে তারা খরচ করেছে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
বিপিএলের দলগুলোর খেলোয়াড় তালিকা:
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস:
ধরে রাখা দেশের খেলোয়াড়: লিটন দাস, মুস্তাফিজুর রহমান, তানভীর ইসলাম।
ধরে রাখা বিদেশের খেলোয়াড়: মোহাম্মদ রিজওয়ান, সুনীল নারাইন।
সরাসরি নেওয়া দেশের খেলোয়াড়: তাওহীদ হৃদয়।
সরাসরি নেওয়া বিদেশের খেলোয়াড়: মঈন আলী, আন্দ্রে রাসেল, ইফতিখার আহমেদ, জামান খান, খুশদিল শাহ, জনসন চার্লস, নূর আহমেদ, নাসিম শাহ, রশিদ খান।
প্লেয়ার ড্রাফট থেকে নেওয়া দেশের খেলোয়াড়: জাকের আলী অনিক, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, রিশাদ হোসেন, ইমরুল কায়েস, মুশফিক হাসান, মোহাম্মদ এনামুল হক, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
প্লেয়ার ড্রাফট থেকে নেওয়া বিদেশের খেলোয়াড়: রাকিম কর্নওয়াল, ম্যাথু ওয়াল্টার ফোর্ড।
দুর্দান্ত ঢাকা:
ধরে রাখা দেশের খেলোয়াড়: তাসকিন আহমেদ, আরাফাত সানি, শরিফুল ইসলাম।
সরাসরি নেওয়া দেশের খেলোয়াড়: মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
সরাসরি নেওয়া বিদেশের খেলোয়াড়: সায়িম আইয়ুব, উসমান কাদির, চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা।
প্লেয়ার ড্রাফট থেকে নেওয়া দেশের খেলোয়াড়: ইরফান শুক্কুর, সাইফ হাসান, আলাউদ্দিন বাবু, মেহরব হোসেন, নাইম শেখ, সাব্বির হোসেন, জসিম উদ্দিন।
প্লেয়ার ড্রাফট থেকে নেওয়া বিদেশের খেলোয়াড়: লাহিরু সামারাকুন, সাদিরা সামারাবিক্রমা।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স:
ধরে রাখা দেশের খেলোয়াড়: শুভাগত হোম, জিয়াউর রহমান, নিহাদুজ্জামান।
সরাসরি নেওয়া দেশের খেলোয়াড়: শহিদুল ইসলাম।
সরাসরি নেওয়া বিদেশের খেলোয়াড়: মোহাম্মদ হারিস, নাজিবুল্লাহ জাদরান, স্টিভি স্কিনাজি, মোহাম্মদ হাসনাইন।
প্লেয়ার ড্রাফট থেকে নেওয়া দেশের খেলোয়াড়: তানজিদ হাসান তামিম, মোহাম্মদ আল আমিন হোসেন সিনিয়র, সৈকত আলী, ইমরানউজ্জামান।
প্লেয়ার ড্রাফট থেকে নেওয়া দেশের খেলোয়াড়: কার্টিস ক্যাম্ফার, বিলাল খান, শাহাদাত হোসেন দিপু, সালাউদ্দিন শাকিল।
খুলনা টাইগার্স:
ধরে রাখা দেশের খেলোয়াড়: নাসুম আহমেদ, নাহিদুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়।
সরাসরি নেওয়া দেশের খেলোয়াড়: এনামুল হক বিজয়।
সরাসরি নেওয়া বিদেশের খেলোয়াড়: এভিন লুইস, ফাহিম আশরাফ, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, শাই হোপ।
প্লেয়ার ড্রাফট থেকে নেওয়া দেশের খেলোয়াড়: আফিফ হোসেন, রুবেল হোসেন, পারভেজ হোসেন ইমন, হাবিবুর রহমান সোহান, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, আকবর আলী, সুমন খান।
প্লেয়ার ড্রাফট থেকে নেওয়া দেশের খেলোয়াড়: কাসুন রাজিথা, দাসুন শানাকা।
রংপুর রাইডার্স:
ধরে রাখা দেশের খেলোয়াড়: নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী, হাসান মাহমুদ।
ধরে রাখা বিদেশের খেলোয়াড়: আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নিকোলাস পুরান।
সরাসরি নেওয়া দেশের খেলোয়াড়: সাকিব আল হাসান।
সরাসরি নেওয়া বিদেশের খেলোয়াড়: বাবর আজম, ইহসানউল্লাহ, মাথিশা পাথিরানা, ব্র্যান্ডন কিং, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
প্লেয়ার ড্রাফট থেকে নেওয়া দেশের খেলোয়াড়: রনি তালুকদার, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, রিপন মন্ডল, হাসান মুরাদ, আবু হায়দার রনি, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান।
প্লেয়ার ড্রাফট থেকে নেওয়া বিদেশের খেলোয়াড়: মাইকেল রিপ্পন, ইয়াসির মুহাম্মদ।
ফরচুন বরিশাল:
ধরে রাখা দেশের খেলোয়াড়: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, খালেদ আহমেদ।
ধরে রাখা বিদেশের খেলোয়াড়: ইব্রাহিম জাদরান।
সরাসরি নেওয়া দেশের খেলোয়াড়: তামিম ইকবাল।
সরাসরি নেওয়া বিদেশের খেলোয়াড়: শোয়েব মালিক, পল স্টার্লিং, ফখর জামান, মোহাম্মদ আমির, আব্বাস আফ্রিদি ও দুনিথ ভেল্লালাগে।
প্লেয়ার ড্রাফট থেকে নেওয়া দেশের খেলোয়াড়: মুশফিকুর রহিম, রাকিবুল হাসান জুনিয়র, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, সৌম্য সরকার, কামরুল ইসলাম রাব্বি, প্রিতম কুমার, তাইজুল ইসলাম, প্রান্তিক নওরোজ নাবিল।
প্লেয়ার ড্রাফট থেকে নেওয়া বিদেশের খেলোয়াড়: ইয়ানিক ক্যারিয়াহ, দীনেশ চান্দিমাল।
সিলেট স্ট্রাইকার্স:
ধরে রাখা দেশের খেলোয়াড়: মাশরাফি বিন মুর্তজা, জাকির হাসান, তানজিম হাসান সাকিব।
সরাসরি নেওয়া দেশের খেলোয়াড়: নাজমুল হোসেন শান্ত।
সরাসরি নেওয়া বিদেশের খেলোয়াড়: রায়ান বার্ল, হ্যারি টেক্টর।
প্লেয়ার ড্রাফট থেকে নেওয়া দেশের খেলোয়াড়: মোহাম্মদ মিঠুন, রেজাউর রহমান, আরিফুল হক, ইয়াসির আলী চৌধুরি, নাজমুল ইসলাম অপু, শফিকুল ইসলাম, নাইম হাসান, জাওয়াদ রোয়েন, সালমান হোসেন।
প্লেয়ার ড্রাফট থেকে নেওয়া বিদেশের খেলোয়াড়: জর্জ স্ক্রিমশ, বেন কাটিং, রিচার্ড এনগারাভা, দুশান হেমন্ত।
মন্তব্য করুন: