শান্তর শতকে সিলেট টেস্টের নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ

৩০ নভেম্বর ২০২৩

শান্তর শতকে সিলেট টেস্টের নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ

অধিনায়ক হিসেবে নিজের অভিষেক টেস্টেই শতক হাঁকিয়ে তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশকে দারুণ অবস্থানে রেখেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আলোকস্বল্পতার কারণে দিনের খেলা শেষ হওয়ায় নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২১২ রান। স্বাগতিকরা এগিয়ে আছে ২০৫ রানে।

সিলেটে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের তৃতীয় দিনে চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক শান্তর সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে তৃতীয় সেশন পুরোটাই নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। ৯৬ রানের জুটিতে মুশফিক অপরাজিত আছেন ৪৩ রান করে।

তবে সেশনের প্রায় পুরো আলো নিজের করে নিয়েছেন শান্ত। প্রথম ওভারেই তুলে নেন অর্ধ-শতক। প্রথম ইনিংসে দারুণ শুরু পেলেও নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে এবার সেই ভুল আর করেননি তিনি। কিউই বোলারদের সামলে টানা দুই টেস্টে নিজের শতক তুলে নেন শান্ত। গত জুনে মিরপুরে আফগানিস্তানের সঙ্গে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেন এই ব্যাটার। ১০৪ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন তিনি।

চতুর্থ উইকেটে শান্ত-মুশফিক ৯৬ রানের জুটি গড়েছেন

চতুর্থ উইকেটে শান্ত-মুশফিক ৯৬ রানের জুটি গড়েছেন

তৃতীয় দিনে ৭ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নামার পর কোনো বিপদ ছাড়াই প্রথম সেশন পর করলেও দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। ১৩তম ওভারের প্রথম বলেই আজাজ প্যাটেলের ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন জাকির হাসান (১৭)। পরের ওভারেই দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান-আউটে কাটা পড়েন প্রথম ইনিংসে ফিফটি হাঁকানো মাহমুদুল হাসান জয়। অধিনায়ক শান্তর শট বোলার টিম সাউদির হাতে লেগে বোলিং প্রান্তের স্ট্যাম্প ভাঙলে ৮ রানে সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

শুরুর ধাক্কা সামলে শান্ত ও মুমিনুল হকের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়ে কিউইদের ভালোই জবাব দেয় বাংলাদেশ। বাঁহাতি এই দুই ব্যাটারের ৯০ রানের জুটিতে ভালো অবস্থানেই ছিল টাইগাররা। কিন্তু শান্তর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ব্যক্তিগত ৪০ রানে রান-আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল। এরপর আর কোনো বিপদ হতে দেননি শান্ত ও মুশফিক।

এর আগে প্রথম ইনিংসেই লিড পাওয়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের হাতে। কিন্তু ৮ উইকেটে ২৬৬ রানে দিনের খেলা শুরু করা দুই কিউই ব্যাটার কাইল জেমিসন ও সাউদি তা হতে দেননি। টাইগার স্পিনারদের দেখেশুনে খেলে কোনো বিপদ ছাড়াই প্রথম ঘণ্টা পার করেন এই দুই ব্যাটার।

নবম উইকেটে জেমিসন ও সাউদি ৫২ রানের জুটি গড়ে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩১০ রান পার করে কিউইদের লিড এনে দেন। এ জুটি ভাঙতে বেশ মরিয়া হয়েই অধিনায়ক শান্ত বল তুলে দেন মুমিনুলের হাতে। দিনে নিজের দ্বিতীয় ওভারেই ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন জেমিসনকে (২৩)। একই ওভারের পঞ্চম বলে সাউদিকে (৩৫) বোল্ড করে ৩১৭ রানে কিউইদের ইনিংস গুটিয়ে দেন বাঁহাতি-স্পিনার মুমিনুল।

মন্তব্য করুন: