বিশ্বকাপ ছেড়ে এখনই বাড়ি ফিরতে চান না ব্রাজিলের মার্তা
২ আগস্ট ২০২৩

টানা ছয়টি নারী বিশ্বকাপে খেলা মার্তা হয়তো ব্রাজিলের হয়ে তার ঝলমলে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি খেলে ফেলবেন জ্যামাইকার বিপক্ষে। তবে অনন্য এক রেকর্ড গড়ার দ্বারপ্রান্তে থাকা এই কিংবদন্তি এখনই বাড়ি ফেরার কথা মাথায় আনতে চান না।
৩৭ বছর বয়সী ফুটবলারের মতে তাদের কাজ এখনও অসমাপ্ত রয়েছে। জ্যামাইকাকে হারিয়ে গ্রুপ থেকে পরবর্তী রাউন্ডে ওঠা নিয়ে নিজেদের উপর আত্মবিশ্বাসী ব্রাজিল তারকা।
মেলবোর্নের র্যাকটেনগুলার স্টেডিয়ামে গ্রুপ ‘এফ’ - এর লড়াইয়ের আগের দিন অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মার্তা সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত ও আত্মবিশ্বাসী। আগামীকালের ম্যাচটি ভাগ্য নির্ধারণী এবং আমরা খালি হাতে ঘরে ফিরতে চাই না।”
১৯৯৫ সালের পর প্রথমবারের মতো গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়া ঠেকাতে ব্রাজিলকে জিততেই হবে।
৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘এফ’ – এর শীর্ষে রয়েছে ফ্রান্স। সমান পয়েন্ট নিয়ে এরপরের অবস্থানে রয়েছে জামাইকা। ফ্রান্সের কাছে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ২-১ গোলে হেরে এক পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল।
গত দুই দশক ধরে ব্রাজিল নারী ফুটবল দলের সমার্থক হিসেবে থাকা “রানী মার্তা” আগের মতো এখন আর মাঠে কর্তৃত্ব করতে পারছেন না। ফ্রান্সের বিপক্ষে এবং ৪-০ গোলে পানামাকে বিধ্বস্ত করা ম্যাচে খেলা শেষ হবার আগেই মার্তাকে মাঠ থেকে তুলে নেন কোচ।
তবে ড্রেসিংরুমে আগের মতোই প্রভাবশালী মার্তা। আর দলের সদস্যরা তার শেষ বিশ্বকাপে তাকে মাঠ থেকে সম্মানের সাথে বিদায় জানাতে দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
নারী বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১৭ গোলের রেকর্ড মার্তার। অন্যদিকে টানা পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার রেকর্ড তিনি ভাগাভাগি করছেন ক্রিস্টিন সিনক্লেয়ারের সঙ্গে।
গত সোমবার ৪০ বছর বয়সী সিনক্লেয়ারের কানাডা অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ায় মার্তার সামনে এখন সুযোগ এসেছে প্রথম কোনো পুরুষ অথবা নারী খেলোয়াড় হিসেবে টানা ছয় বিশ্বকাপে গোল করার।
তবে ব্যক্তিগত সাফল্য নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না মার্তা। এখন তার একমাত্র লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডে চলা বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তোলা।
সংবাদ সম্মেলনে নারী ফুটবলে তার অবদান নিয়ে ব্রাজিলীয় সাংবাদিকের এক প্রশ্নে আবেগাপ্লূত হয়ে পরেন মার্তা।
“২০ বছর আগে আমার প্রথম বিশ্বকাপে কেউ জানতো না মার্তা কে। ২০ বছর পরে কেবল ফুটবলেই না, বিশ্বের অনেক নারীর কাছে আমরা এক অনুপ্রেরণার নাম হয়ে দাঁড়িয়েছি।”
মন্তব্য করুন: