ইতিহাদে সিটিকে হারাতে রক্ষণাত্মক খেলার বিকল্প ছিল না: আনচেলত্তি

১৮ এপ্রিল ২০২৪

ইতিহাদে সিটিকে হারাতে রক্ষণাত্মক খেলার বিকল্প ছিল না: আনচেলত্তি

ম্যানচেস্টার সিটির ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের পরিসংখ্যানটা বেশ নড়বড়েই। জয় নেই একটি ম্যাচেও। সে হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের আগে বেশ এগিয়ে ছিল ইংলিশ ক্লাবটি। ম্যাচজুড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের একের পর এক আক্রমণে কঠিন এক সময় পার করতে হয়েছিল রিয়াল ডিফেন্ডারদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে সফল হয়েছে হার না মানা ইস্পাত কঠিন দৃঢ় মনোবলের কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরাই। দলের এমন পারফরম্যান্সে তাই উচ্ছ্বাসিত ও গর্বিত রিয়াল কোচ।

বুধবার ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে গেলেও পেপ গুয়ার্দিওলার দলের মুহুর্মুহু আক্রমণে রক্ষণাত্মক খেলার পথ বেছে নেন আনচেলত্তি। ৬৮ শতাংশ সময় বল দখল কিংবা গোলের জন্য সিটির নেওয়া ৩৩ শটের ৯টি লক্ষ্যে জানান দেয় ম্যাচটি জিততে কতটা মরিয়া ছিল তারা। কিন্তু দানি কারবাহাল-আন্টনিও রুডিগারের দৃঢ়তায় পুরো ম্যাচে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা গোল আদায় করতে পারে কেবল একটি। সেটিও রুডিগারের কিছুটা ভুলে।

ম্যাচ শেষে গর্বিত আনচেলত্তি জানান, গুয়ার্দিওলার এই সিটিকে তাদের মাঠে হারাতে রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না তার। বড় ম্যাচ এলেই তার দল সব কিছু উজাড় করে দিয়ে খেলে জানিয়ে রিয়াল কোচ বলেন, “এই ধরনের বড় ম্যাচে যখন দল যখন নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দেয় ও সবকিছু ত্যাগ করে, তা ভালোবাসি আমি। আমার বিশ্বাস, ম্যানচেস্টার সিটিকে এখানে হারাতে অন্য আর কোনো উপায় ছিল না।”

“একটাই পথ ছিল এখান থেকে জিতে আসার, নিজেদের সুযোগ কাজে লাগানো। শুরুতে আমরা তা করেছি এবং এরপর রক্ষণ ভালোভাবে সামলেছি। এই সিটির বিপক্ষে আর কোনো পথ নেই। আমরা যা করেছি, তাতে আমি গর্বিত।”

সিটির আক্রমণের দিনে রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলতে গিয়ে রিয়াল শট নিতে পারে কেবল ৮টি, যার মধ্যে গোলমুখে ছিল শুধু ৩টি। এমনকি প্রতিপক্ষের ১৮ কর্নারের বিপরীতে আনচেলত্তির দল কর্নার পায় কেবল একটি। সেটিও ম্যাচে ১০৬তম মিনিটে। তবে শুরুতে এতটা নিচে নেমে খেলার পরিকল্পনা ছিল না বলে জানান এই ইতালিয়ান কোচ।  

“আমরা শুরুটা করেছিলাম ভালো, গোল করে ফেলি শুরুর দিকেই। কিন্তু এরপরই খেলাটা বদলে যায়। ওরা প্রবল চাপে ফেলে আমাদের। এতটা নিচে নেমে রক্ষণ সামলানোর পরিকল্পনা আমাদের ছিল না। তবে এটি তো বড় ম্যাচ, এরকম পরিস্থিতি আসতেই পারে এবং তখন লড়াই করা জরুরি।”

আনচেলত্তির মতে, কঠিন পরিস্থিতি থেকে ফিরে আসা রিয়ালের রন্ধ্রে রয়েছে। আর তাই ম্যাচ টাইব্রেকারে যেতেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন শেষ হাসিটা তারাই হাসবেন। হয়েছেও তাই। ৪-৩ ব্যবধানে জিতে সেমি-ফাইনালে ওঠে তারা, যেখানে গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিন ঠেকান বের্নার্দো সিলভা ও মাতেও কোভাচিচের শট।

আমি অনেকবারই রিয়াল মাদ্রিদকে এটা (অসম্ভব জায়গা থেকে জয়) করতে দেখেছি। এটার কারণ বোধ হয় (রিয়ালের) ব্যাজটা। এটা আপনার ভেতর থেকে এমন কিছু বের করে আনবে, যেটা আপনি নিজেই জানতেন না যে আপনার ছিল! টাইব্রেকারে বুঝে গিয়েছিলাম যে আমরাই যাচ্ছি (সেমি-ফাইনালে)। আন্দ্রি লুনিন দারুণ একটা ম্যাচ খেলেছে।

নিজেদের ১৫তম শিরোপা জয়ের অভিযানে শেষ চারে বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হবে রিয়াল।

মন্তব্য করুন: