ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতলেন এমবাপ্পে

রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর নিজের অভিষেক মৌসুমেই অধরা এক সাফল্য পেয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতেছেন ফরাসি এই তারকা। পাশাপাশি লা লিগায় সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাবও নিজের করে নিয়েছেন তিনি।

গত শনিবার রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে রিয়ালের শেষ লিগ ম্যাচে জোড়া গোল করে এমবাপ্পে থামেন ৩১ গোল নিয়ে। এর সুবাদে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে তিনি উঠে আসেন ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু র‌্যাঙ্কিংয়ের সবার ওপরে।

ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু পুরস্কারের জন্য ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগ- ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, স্প্যানিশ লা লিগা, জার্মান বুন্ডেসলিগা, ইতালিয়ান সেরি আ ও ফরাসি লিগ ওয়ানের ম্যাচে প্রতি গোলের জন্য দুই পয়েন্ট করে ধরা হয়। অন্যদিকে ষষ্ঠ থেকে ২২ নম্বর অবস্থানে থাকা লিগগুলোতে প্রতি গোলের জন্য ১ দশমিক ৫ পয়েন্ট করে দেওয়া হয়।

তবে ইউরোপিয়ান ফুটবলের প্রথম শ্রেণির লিগগুলোর মধ্যে এমবাপ্পের চেয়েও ৮ গোল বেশি করে ৩৯ গোল নিয়ে মৌসুম শেষ করেন পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্তিং লিসবনের ভিক্তর গিওকেরেস। কিন্তু পর্তুগিজ লিগে গোলের বিপরীতে পয়েন্ট কম থাকায় পুরস্কারটি জিততে পারেননি এই সুইডিশ ফরোয়ার্ড। তার পয়েন্ট ৫৮ দশমিক ৫।

তালিকার তৃতীয় স্থানে আছেন লিভারপুলের মোহামেদ সালাহ। দলকে দ্বিতীয় প্রিমিয়ার লিগ জেতাতে এই মিশরীয় তারকা ২৯ গোল করে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে মৌসুম শেষ করেন। অবশ্য ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে মৌসুমের শেষ ম্যাচে হ্যাটট্রিক করলেই এমবাপ্পেকে ছুঁতে পারতেন তিনি। ১-১ সমতায় শেষ হওয়া ম্যাচে দলের একমাত্র গোলটি করেন তিনি।

রিয়াল মাদ্রিদের তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে গোল্ডেন শু জিতলেন এমবাপ্পে। সবশেষ ২০১৪-১৫ মৌসুমে এই খেতাব জিতেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ২০১০-১১ ও ২০১৩-১৪ মৌসুমেও এই পুরস্কার জিতেছিলেন পর্তুগিজ মহাতারকা। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে সর্বপ্রথম গোল্ডেন শু জিতেছিলেন হুগো সানচেস।

ফরাসি লিগে বেশ কয়েকবার মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেও কখনোই ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিততে পারেননি এমবাপ্পে।