বাজে পিচে রিশাদ ঝড়ে বাংলাদেশের ২১৩
২১ অক্টোবর ২০২৫

পিচ রিপোর্টের সময়েই বোঝা গেছে প্রথম ম্যাচের তুলনায় কালো মাটির ঘাসহীন পিচের অবস্থা আরও খারাপ। সে অনুযায়ী স্পিন নির্ভর দলও সাজিয়েছে দু’দলই। বোলিং শুধু স্পিনার দিয়ে করিয়ে বিশ্বরেকর্ড করার পাশাপাশি বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে রিশাদ হোসেনের শেষের ঝড়ে সিরিজ জয়ের অভিযানে ২১৪ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২১৩ রান তোলে স্বাগতিকরা। ৭ ম্যাচ পর ওয়ানডেতে পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করতে পারল দল। সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পুরো ৫০ ব্যাটিং করেছিল তারা।
১৪ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন রিশাদ। কোনো ব্যাটার পঞ্চাশের দেখা পাননি। সর্বোচ্চ ৪৫ রান করে সৌম্য সরকার। বাঁহাতি এই ওপেনার ৩ চার ও ১ ছক্কায় এই রান করেন ৮৯ বলে।
রিশাদের কল্যাণে দলের একমাত্র পঞ্চাশ রানের জুটিটি আসে অষ্টম উইকেটে। ২৪ বলে ৫০ রানের জুটিতে অধিনায়ক মিরাজের অবদান ১১ রান।
ওয়ানডে ইতিহাসে এবারই প্রথম ইনিংসের সব ওভার করে স্পিনাররা। এর আগে স্পিনারদের দিয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৪ ওভার করানোর রেকর্ড ছিল শ্রীলঙ্কার, তিনবার।
এদিন আগের ম্যাচের তুলনায় শুরুটা ভালো করে বাংলাদেশ। প্রথম ১০ ওভারে ৪০ রান তুলতে হারায় ১ উইকেট। নিজের ১৫তম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে রানের খাতা খোলা সাইফ হাসান পরের বলেই বিদায় নিলে ভাঙে ২২ রানের উদ্বোধনী জুটি। তাওহিদ হৃদয় ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও ১২ রান করে সাজঘরের পথ দেখেন।
তৃতীয় উইকেটে বেশ স্বাচ্ছন্দে স্পিনারদের সামলাচ্ছিলেন সৌম্য ও নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু পার্টটাইম স্পিনার অ্যালিক অ্যাথানেজের করা দ্বিতীয় বলে শান্ত (১৫) নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এলে ভাঙে ২৭ রানের জুটিটি। এরপর কমে আসে রানের গতিও। বাউন্ডারি তো আসেইনি, দৌড়েও রান তোলায় ছিল ঘাটতি।
ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ দেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (১৭)। খানিকবাদে সৌম্যর বিদায়ের পর রানের গতি কমে আসে আরও। ধুঁকতে থাকা মিরাজের সঙ্গে যোগ দেন নাসুম আহমেদ। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাদের ৪৮ বলের জুটি থেকে ২৫ রান। নাসুমের (১৪) বিদায়ের পর নুরুল হাসান সোহান এলে রানের কিছুটা গতি বাড়ে। তবে অপর প্রান্তে সিঙ্গেল বের করতেও যেন হিমশিম খান মিরাজ। আর নিজের খেলা ৪৫তম বলে একমাত্র বাউন্ডারিটি মারেন তিনি।
২৪ বলে ২৩ রান করা সোহানের বিদায়ের পর ক্রিজে এসে ঝড় তোলেন রিশাদ। শেষ ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে দলের খাতায় ৮২ রান যোগ হয়।
১০ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন অ্যাথানেজ। আকিল হোসেইনের শিকার দুটি। খরুচে বোলিংয়ে ৬৫ রান দিয়ে গুদাকেশ মোটি নেন ৩ উইকেট।
[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]
মন্তব্য করুন: