১১ দিনে অ্যাশেজ জিতল অস্ট্রেলিয়া
২১ ডিসেম্বর ২০২৫
অ্যাশেজ ধরে রাখার মঞ্চটা আগের দিনই প্রস্তুত ছিল করে রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে শেষ দিন জেইমি স্মিথ ও উইল জ্যাকসের দৃঢ়তায় অবিশ্বাস্য কিছু করে দেখানোর আশায় ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু মিচেল স্টার্কের নৈপুণ্যে তা আর হয়নি। ৮২ রানের জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই এবারের অ্যাশেজ সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে অজিরা।
রোববার অ্যাডিলেইডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ৪৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় পঞ্চম ও শেষ দিন মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পর ৩৫২ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
পার্থে দুই দিন, ব্রিজবেনে চার দিনে জয়ের পর অ্যাডিলেইডে পঞ্চম দিনে জিতল অস্ট্রেলিয়া। সব মিলিয়ে ১১ দিনে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অ্যাশেজ ইতিহাসে এত কম সময়ে সিরিজ নিষ্পত্তি হওয়ার এটি দ্বিতীয় ঘটনা। এর আগে ২০০২–০৩ মৌসুমে ১১ দিনের মধ্যে অ্যাশেজ জিতেছিল স্টিভ ওয়াহর অস্ট্রেলিয়া।
এই নিয়ে টানা পাঁচটি সিরিজে অ্যাশেজ ধরে রাখল অস্ট্রেলিয়া, যার মধ্যে তারা জিতেছে তিনটি, ড্র হয়েছে দুটি। ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে সবশেষ অ্যাশেজ জিতেছিল ইংল্যান্ড। আর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেটা ২০১০-১২ মৌসুমে।
অবিশ্বাস্য কিছু করে সিরিজে ফেরার জন্য শেষ দিন ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২২৮ রান, হাতে ছিল ৪ উইকেট। মেঘলাচ্ছন্ন আকাশের নিচে লড়াই চালিয়ে যান স্মিথ ও জ্যাকস। দিনের খেলা শুরু হওয়ার ৪৮ মিনিট পর বৃষ্টির কারণে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে।
খেলা আবার শুরু হলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় অ্যাশেজে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন স্মিথ। তবে দ্বিতীয় নতুন বল হাতে নেওয়ার পর সপ্তম উইকেটে ৯১ রানের জুটি ভাঙেন স্টার্ক। বাঁহাতি এই পেসারকে পরপর দুটি বাউন্ডারি মারার পর তৃতীয় বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অনে প্যাট কামিন্সের হাতে ক্যাচ দেন স্মিথ (৬০)।
এরপর ব্রাইডন কার্সকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন জ্যাকস। ইংলিশদের জন্য আশির্বাদ হয়ে আসে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে ন্যাথান লায়নের ছিটকে যাওয়ার বিষয়টি। ফলে ট্র্যাভিস হেড ও মার্নাস লাবুশেনের মতো অনিয়মিত স্পিনারদের দিয়ে বোলিং করাতে একপ্রকার বাধ্য হন অধিনায়ক কামিন্স। হেড একাই করেন ১৫ ওভার।
জ্যাকস-কার্সের অর্ধশত রানের জুটিতে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান নেমে আসে একশর নিচে। অভাবনীয় কিছু হওয়ার সম্ভাবনা যেন আরও বাড়তে শুরু করে। কিন্তু এরপরই স্টার্কের বলে স্লিপে ডাইভ দিয়ে জ্যাকসের (৩৯) দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন লাবুশেন। ভাঙেন ৫২ রানের জুটি। এরপর ১৫ রানে শেষ ২ উইকেট হারায় ইংলিশরা। স্টার্ক জোফরা আর্চারকে (৩) ফেরানোর পর জশ টাংকে তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের উল্লাসে মাতান স্কট বোল্যান্ড।
৩টি করে উইকেট নেন স্টার্ক, কামিন্স ও লায়ন।
প্রথম ইনিংসে ১০৬ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭২ রান করার পাশাপাশি পুরো ম্যাচে ৭টি ডিসমিসালে অবদান রেখে ম্যাচ সেরা হন অ্যালেক্স ক্যারি।
আগামী শুক্রবার মেলবোর্নে শুরু হবে সিরিজের চতুর্থ টেস্ট।















মন্তব্য করুন: