শৈশবের স্বপ্ন পূরণে উচ্ছ্বিসত নিসার
২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
মৌসুমের শুরুতেও অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে আবারও টেস্ট খেলা নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন মাইকেল নিসার। তবে বদলি হিসেবে স্কোয়াডে জায়গা পেয়ে দলের নায়কে পরিণত হচ্ছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। ঐতিহাসিক মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিন রেকর্ড দর্শকের সামনে ২০ উইকেট পতনের রোমাঞ্চকর দিনে ব্যাট-বলের দারুণ নৈপুণ্যে স্বাগতিকদের চালকের আসনে রেখেছেন তিনি।
শুক্রবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ডের পেস তোপে বিপর্যয়ে পড়া অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন নিসার। ৪৯ বলে তার ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৫ রানে স্বাগতিকদের স্কোর ১৫২ পর্যন্ত যায়।
বল হাতে আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন নিসার। জ্যাকব বেথেল, জো রুট ও বেন স্টোকসকে ফিরিয়ে ইংলিশদের ব্যাটিংয়ে ধস নামাতে অবদান রাখেন ডানহাতি এই পেসার। তার ৪৫ রানে ৪ উইকেট শিকারে ১১০ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড।
অথচ এই গ্রীষ্মের শুরুতে নিসারের টেস্ট দলে ফেরার কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। গত বছর হ্যামস্ট্রিংয়ের গুরুতর চোট কাটিয়ে ফেরার পর পার্থে প্রথম টেস্টের দলেও ছিলেন না। তবে জশ হ্যাজেলউড ও শন অ্যাবটের চোটে ভাগ্য খোলে তার। ব্রিসবেনে দিবা-রাত্রির দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৫ উইকেট। তবে অ্যাডিলেইড টেস্ট প্যাট কামিন্স ও ন্যাথান লায়ন ফেরায় তাকে আবারও বেঞ্চে বসতে হয়েছিল।
কামিন্স ও লায়ন না থাকায় মেলবোর্ন টেস্টে সুযোগ পান নিসার। রেকর্ড ৯৪ হাজার ১৯৯ জন দর্শকের সামনে এমন পারফরম্যান্সের পর ৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার জানান, শৈশবের স্বপ্ন পূরণ হওয়ার কথা।
“আমি জানতাম না আর কখনও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে পারব কি না এবং এখন যেই অবস্থানে আছি। আমি অনেক ভাগ্যবান। এটা স্বপ্নের মতো। ছোটবেলায় আমি এটারই স্বপ্ন দেখতাম। প্রতি বক্সিং ডে-তে (বড়দিনের পরদিন) সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাইয়ের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাড়ির উঠানে ক্রিকেট খেলতাম। এরপর এসে ক্রিকেট দেখতাম। আমাদের জন্য সারাটা দিন শুধু ক্রিকেট ছিল। আজ সেই মঞ্চের অংশ হতে পারা আমার জন্য স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। ভাবতেই শিহরণ জাগছে।”
এই ম্যাচে খেলার আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনোই লাল বলে খেলার সুযোগ হয়নি নিসারের। আগের খেলা তিন ম্যাচের সবকটিই ছিল দিবা-রাত্রির, যা গোলাপি বলে খেলা হয়। ৬ ইনিংসে নেন ১৩ উইকেট।















মন্তব্য করুন: