ব্যাটিং ব্যর্থতায় হার দিয়ে শুরু বাংলাদেশের

৩১ আগস্ট ২০২৩

ব্যাটিং ব্যর্থতায় হার দিয়ে শুরু বাংলাদেশের

ব্যাটারদের ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে হার দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কার কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল।

বৃহস্পতিবার গ্রুপ - ‘বি’র প্রথম ম্যাচে পাল্লেকেলেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ৪২ ওভার ৪ বলে মাত্র ১৬৪ রানে।

জবাবে ১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা লংকানদের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ম্যাচের তৃতীয় ওভারে দারুণ এক ইনসুইংয়ে ওপেনার দিমুথ করুনারত্নের স্ট্যাম্প এলোমেলো করে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। পরের ওভারেই আরেক ওপেনার পাতুম নিসাঙ্কাকে সাজঘরে ফেরান পেসার শরিফুল ইসলাম। দশম ওভারে লংকান ইনিংসে ৫ রানে থাকা কুশল মেন্ডিসকে বোল্ড করে মাঠ ছাড়া করেন অধিনায়ক সাকিব।

তবে চাপটা আর ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চারিত আসালাঙ্কা ৭৮ রান যোগ করলে লংকানদের জয়ের রাস্তা সহজ হয়ে যায়।

দলীয় ১২১ রানে শেখ মেহেদীর বলে বোকা বনে ৫৪ রানে স্ট্যাম্পিং হন সামারাবিক্রমা। তবে লংকানদের হয়ে ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়েন আসালাঙ্কা। ৯২ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

বাংলাদেশের হয়ে ১০ ওভারে ২৯ রানে ২ উইকেট নেন বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার সাকিব।

কুশল মেন্ডিসকে বোল্ড করে মাঠ ছাড়া করেন অধিনায়ক সাকিবএদিন তিন পেসার ও তিন স্পিনার নিয়ে সাজানো বাংলাদেশ দলে অভিষেক হয় বাঁহাতি ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিমের।

দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে কেবল লড়াই চালিয়ে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন তিনি। অন্যদের কেউই ২০ রানের বেশি করতে পারেনি।

লংকানদের নিয়মিত বোলারদের অনুপস্থিতির সুবিধাই নিতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে মাহিশ থিকশানার অফ-স্পিনে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়ে অভিষেকেই শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ। দলীয় ২৫ রানে আরেক ওপেনার নাঈম শেখ নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে দলকে আরও চাপে ফেলেন।

অধিনায়ক সাকিবও ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের দুর্দান্ত ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার।

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে কেবল লড়াই চালিয়ে যান শান্ত৩৬ রানে তিন উইকেট হারানো বিপর্যস্ত দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়। দুজনের ৫৯ রানের জুটিতে বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করলেও লংকান বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি পরের ব্যাটাররা। ব্যক্তিগত ২০ রানে আউট হন হৃদয়। মুশফিকও নিজের নামের সুবিচার করতে পারেননি। দলীয় ১৪১ রানে শান্তর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে কাটা পড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ।

ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখে দলের বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন শান্ত। দুই রানে জীবন পাওয়া শান্ত সাত চারে ১২২ বলে করেন ৮৯ রান। মাত্র দুই রানের ব্যবধানে শেষ চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত লাইন ও লেন্থে অসহায়ত্ব ফুটে ওঠে ব্যাটারদের মাঝে। ইনিংসের ২৫৬ বলের মধ্যে ১৪৭টি বলে কোনো রানই করতে পারেনি ব্যাটাররা। 

ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৩২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন তরুণ পেসার মাথিশা পাথিরানা।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে]

মন্তব্য করুন: