বাটলারের কাছে ‘খারাপ’ আউটফিল্ডে সর্বোচ্চটাই দেবে বাংলাদেশ
৯ অক্টোবর ২০২৩

ধর্মশালা স্টেডিয়ামের এবড়ো-খেবড়ো আউটফিল্ডকে সরাসরি ‘খারাপ’ বলে দিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। তবে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা দলের স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ জানালেন, মাঠ যাই হোক, ফিল্ডাররা তাদের তাদের শতভাগ দিয়েই খেলবে।
ভারতে চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে সমালোচনার মুখে পড়েছে ধর্মশালা স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচে চোটের ঝুঁকি নিয়ে ফিল্ডিং করতে হয়েছে খেলোয়াড়দের। বেশ কয়েকজন ফিল্ডার ডাইভ দেওয়ার সময় বাজেভাবে পড়ে গেছেন। এই মাঠেই মঙ্গলবার হবে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচ। আগের দিন সোমবার দুই দলের সংবাদ সম্মেলনেই তাই উঠল ধর্মশালার আউটফিল্ড নিয়ে প্রশ্ন।
সংবাদ সম্মেলনে মাঠ নিয়ে কোনো রাখঢাক না করেই বাটলার বলেন, “আমার মতে, এটা খারাপ। আপনাকে যদি সব সময় ডাইভ দিতে গিয়ে কিংবা ফিল্ডিং করতে গিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, তাহলে একটি দল হিসেবে আপনি যা করতে চান- এটা তার বিরুদ্ধে যায়। সুতরাং স্পষ্টতই এটা আদর্শ নয়, মাঠ কিংবা আউটফিল্ড। তবে এটাকে আমরা অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করব না, এটার সঙ্গে মানিয়ে নেব।’
তবে বাটলারের মতো সমালোচনা করেননি হেরাথ। আউটফিল্ড নিয়ে প্রশ্নে বাংলাদেশের স্পিন কোচ দিলেন কূটনৈতিক জবাব, “আইসিসি বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করছে। আমি মনে করি, এ বিষয়ে তারা স্ট্যান্ডার্ড মেনেই আন্তর্জাতিক ওয়ানডে আয়োজন করেছে।”
ফিল্ডারকে নির্দিষ্ট কিছু না করতে পরামর্শ দেবেন কি না প্রশ্নের উত্তরে হেরাথ বলেন, “আমরা কোনো কিছু করতে নিষেধ করবো না। আপনি যদি তাদের কোনো কিছু করতে মানা করেন, তখন তারা শতভাগ দেবে না। তারা আগের ম্যাচে খুব ভালো করেছে। আমরা আউটফিল্ডে তাদের সর্বোচ্চটাই দিতে বলবো।”
গত মাসে ধর্মশালা মাঠের ঘাসে ছত্রাকের আক্রমণ হওয়ার পর আউটফিল্ডের এই হাল হয়েছে। গত শনিবার বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন মুজিব উর রহমান এবং আজমতুল্লাহ ওমরজাই। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এই মাঠকে ‘আদর্শ’ মনে করেননি। আর আফগানিস্তান কোচ জোনাথন ট্রট ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তার দলের কেউ চোট পায়নি দেখে।
ম্যাচ অফিসিয়ালের রিপোর্টে স্টেডিয়ামের আউটফিল্ডকে ‘গড়পড়তা’ বলা হয়েছে। তবে আইসিসি স্বাধীন পিচ পরামর্শক অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন রবিবার মাঠ পরিদর্শন করে এর আউটফিল্ডকে ‘কমফর্টেবল’ বলে উল্লেখ করেছেন। শনিবারের ম্যাচ শেষে ও রোববার বিকেলে গ্রাউন্ড স্টাফরা মাঠে পানি ছিটিয়েছেন। বিশেষ করে বোলাররা যেদিক থেকে রানআপ নেন, সেদিকে পানি ছিটানো হয়েছে। আর মঙ্গলবারের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে নতুন একটি উইকেটে।
মন্তব্য করুন: