শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে ব্যাটিং-অর্ডারে পরিবর্তন: হাথুরুসিংহে

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে ব্যাটিং-অর্ডারে পরিবর্তন: হাথুরুসিংহে

ভারতের মাটিতে হওয়া ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মাঠের পারফরম্যান্সের চেয়েও বেশি আলোচনায় ছিল দলের ব্যাটিং-অর্ডার। প্রায় প্রত্যেক ম্যাচেই ব্যাটিং-অর্ডারে রদবদল করায় দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে সে সময় বেশ সমালোচনাও হয়েছিল। তবে নিয়মিত ব্যাটিং-অর্ডারের পরিবর্তনে নিজের একার কোনো হাত ছিল না বলে দাবি করেছেন জাতীয় দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তেই তা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিশ্বকাপে এক ওপেনিং পজিশন ছাড়া বাকি পজিশনগুলোতে নির্দিষ্টভাবে কোনো ব্যাটারকে দেখা যায়নি। ফলে, প্রায় সব ম্যাচেই রান খরায় ভুগতে হয় বাংলাদেশকে। যার সামগ্রিক প্রভাব পড়ে দলের পারফরম্যান্সেও। আসরে খেলা ম্যাচের ৪টিতেই দলীয় রান ১০০ ছোঁয়ার আগেই উইকেট হারায়। ৫০ ওভারের আগেই অল-আউট হয় ম্যাচে। এমনকি রানবন্যার বিশ্বকাপে স্কোরবোর্ডে ব্যাটাররা মাত্র একবার তিনশ রান তুলতে সক্ষম হন।

ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টাইগারদের প্রধান কোচ জানান, বিশ্বকাপের সময় ব্যাটিং-অর্ডার রদবদল নিয়ে তাকে কেউ কিছু বলেনি।

ওই সময় কেউ কোনো কিছু বলেনি। এটা আমার একার সিদ্ধান্ত ছিল না। এটা শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত ছিল। আমরা পারফর্ম করছিলাম না। পারফর্ম করা ছাড়া আপনি কীভাবে আপনার জায়গা ধরে রাখতে পারবেন?”

অন্যদিকে, আসর শুরুর আগে তিন নম্বরে দারুণ পারফর্ম করতে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তকে কখনও খেলতে হয়েছে চারে আবার কখনও তিনে। বিশ্বকাপ সমর্থকদেরও সবচেয়ে হতাশ করে তার ব্যাট। দুই ফিফটিতে পুরো টুর্নামেন্টে করেন ২২২ রান। তবে ব্যাটিং-অর্ডার পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। ম্যাচের ৫টিতেই তাকে ভিন্ন ভিন্ন পজিশনে খেলতে হয়।

সে সময় বলা হয়েছিল, দলের প্রয়োজনে ব্যাটিং-অর্ডারে এরকম পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার তিন মাস পর টুর্নামেন্টে দলের ব্যর্থতার সব দায় ব্যাটারদের উপরই দিলেন হাথুরুসিংহে। তার মতে, ব্যাটাররা নিজেদের প্রমাণ করার যতেষ্ট সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি। এমনকি কেউ যদি রান না পাওয়ায় তাতে ব্যাটিং-অর্ডারের দোষ দিয়ে থাকে তাহলে তা অজুহাত ছাড়া আর কিছুই নয়।

 “আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়ের পজিশন বদল করেছিলাম। মিরাজ রান করেছিল। সবাই তার এশিয়া কাপের শতকের কথা ভুলে গেছে। সে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচেও রান করেছে। সে আমাদের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ফিফটিও করেছে। কেউ যদি ব্যাটিং-অর্ডার পরিবর্তন নিয়ে অভিযোগ করে তাহলে সে অজুহাত দিচ্ছে। তারা (ব্যাটাররা) ৩০ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তারা এটা দিয়ে কী করতে পেরেছে? আমাদের ব্যাটাররা ভালো পারফর্ম করেনি।

মন্তব্য করুন: