জাতীয় দলে খেলতে তামিমের শর্তে সুজনের অসন্তুষ্টি

১১ মার্চ ২০২৪

জাতীয় দলে খেলতে তামিমের শর্তে সুজনের অসন্তুষ্টি

তামিম ইকবাল জাতীয় দলে কবে ফিরবেন কিংবা আদৌ ফিরবেন কি না – এ বিষয়ে চলমান আলোচনা শেষ হওয়ার যেন কোনো নামই নেই। সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলে ফরচুন বরিশালকে চ্যাম্পিয়ন করার পর দেশসেরা এই ওপেনার জানিয়েছিলেন, তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে হলে অনেক কিছু ঠিক হতে হবে। তবে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে বাঁহাতি এই ব্যাটারের এরকম শর্ত দেওয়া নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।

ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে গত বছর সেপ্টেম্বরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাঠে নামেন তামিম। এরপর তার ইনজুরি নিয়ে বিভিন্ন বিতর্কের জের ধরে ছিলেন না বিশ্বকাপ দলেও। টুর্নামেন্ট শেষে ঘরের মাঠে কিউইদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ কিংবা তাদের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজের দলেও নিজেকে বাইরে রাখেন। নেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান সিরিজেও।

এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহক হয়ে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার পর সমর্থকরা যখন দেশের অন্যতম তারকা ক্রিকেটারকে আবারও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেখার আশা করছিল, তখনই নিজের শর্ত দিয়ে বসেন তামিম। এই বিষয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, বাঁহাতি এই ওপেনারের সঙ্গে বসে এ ব্যাপারে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি। কিন্তু আসর শেষ হওয়ার ১০দিন হলেও এখনও সেই আলোচনার হয়নি।

একাত্তর টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দলের কোচ থাকলে দলে ফিরবেন কি না, এরকম প্রশ্নের জবাবে সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে তামিম বলেন, “আমার ফেরাটা একটু কঠিনই বলব।”

সোমবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ শেষে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তামিমের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিষয়ে শর্ত জুড়ে দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুজন। নিজে এই বিষয়ে জড়াতে না চাইলেও দেশ ও দল সবসময় ব্যক্তির ঊর্ধ্বেও বলে জানান সাবেক এই অধিনায়ক।

কথা বলুক, কেন খেলতে চাচ্ছে না, কী হলে খেলবে, এটা ওর প্রেসিডেন্ট স্যারকে পরিষ্কার করাটাই ভালো। এটার মধ্যে আমাদের থার্ড পারসন না যাওয়াটাই ভালো। আমরা সবাই চাই, তামিম ফিরে আসুক। খেলতে চাইলে অবশ্যই খেলবে। কিন্তু শর্ত দিয়ে খেলবে, এই কথাটা শুনতে যেন কেমন শোনায়। আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলব। দেশ, জাতীয় দল—এসব অনেক আগে, অনেক ঊর্ধ্বে। এখানে আসলে শর্ত থাকবে কী থাকবে না, এই কথাটা শুনতেই খারাপ দেখায়।”

তামিম এত বছর বাংলাদেশ দলকে সার্ভিস দিয়েছে, ওকে আমাদের প্রয়োজন। টিম সিলেক্টররা আছেন, তারা যদি মনে করেন তামিমকে আমাদের প্রয়োজন…অবশ্যই তামিমকে আমাদের প্রয়োজন। দরকার হলে খেলবে। কিন্তু সেটা কোনো কিছুর বিনিময়ে বা কোন শর্তে, সেটা কতটা যৌক্তিক, আমি নিজেও বলতে পারব না।”

তামিমের সঙ্গে বোর্ডের আলোচনায় বসতে কেন এত সময় লাগছে তা নিয়েও নিজের বিরক্তি প্রকাশ করে সুজন বলেন,  “আমি মূলত কোনো মন্তব্যই করতে চাই না এই বিষয়টা নিয়ে। অবশ্যই তামিম বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। সেটা বোর্ডই সিদ্ধান্ত নেবে। ও যেহেতু বলেছে বোর্ডের সঙ্গে বসবে। পাপন ভাই যেহেতু কথা বলতে চেয়েছেন। পাপন ভাই সিরাজ ভাই ও জালাল ভাইকে সেই দায়িত্বটা দিয়েছেন। কোনটা ঠিক সময়ে বলবে, কখন বলবে, কখন তাদের সময় হয় বসার, এত দিন সময় লাগছে কেন—কারণ, সবাই তো আমরা বাংলাদেশেই থাকি। সেই সময়টাই–বা কেন হচ্ছে না, সেটা আমি জানি না।”

মন্তব্য করুন: