লায়নকে ব্যাটিংয়ে নামতে দেখে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন

লায়নকে ব্যাটিংয়ে নামতে দেখে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন

ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটলেও দলের প্রয়োজনে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন নাথান লায়ন। ছবি : সংগৃহীত

মনে পড়ে সবশেষ অ্যাশেজ সিরিজের কথা? গত বছরের জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত সেই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নাথান লায়ন। তাকে ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটতে হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে দলের বিপদে ব্যাটিংয়ে নামেন। ম্যাচটি ৪৩ রানে জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। লায়নকে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায় ভাসিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়া এমনকী ইংল্যান্ডের ক্রিকেটপ্রেমীরাও।

লর্ডসে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে অজিদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মিচেল স্টার্কের সঙ্গে শেষ জুটিতে ১৫ রান যোগ করেছিলেন লায়ন। তিনি যখন খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠে নামছিলেন, গোটা স্টেডিয়াম দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে তাকে অভিবাদন জানায়। বিবিসির সঙ্গে আলাপচারিতায় সেই মুহূর্ত নিয়ে লায়ন বলেন, “আমার স্ত্রী, তার বাবা-মা এবং এক পারিবারিক বন্ধু, সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েছিল। ওই সময়ে এবং তারপরে আমার প্রতি যে সম্মান দেখানো হয়েছিল, তখন হয়তো তা বুঝতে পারিনি।”

অস্ট্রেলিয়ার এই অভিজ্ঞ স্পিনার নাকি মনে করতেন, ‘চিরশত্রু’ ইংল্যান্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চক্ষুশূল তিনি! এখন পেছনে ফিরে তাকিয়ে প্রতিপক্ষ সমর্থকদের প্রতি তার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই, “আসলে এটা (দর্শকদের অভিবাদন) এমন কিছু, পেছনে ফিরে তাকিয়ে এবং ভেবে আমি কৃতজ্ঞ। কারণ, আমি সবসময় ভাবতাম ইংল্যান্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আমাকে ঘৃণা করে! মানুষের বিভিন্ন কাজ থাকে এবং অসুস্থ হলেও তারা কাজ করতে যায়। আমারও ব্যাটিং না করার কোনো ভাবনা ছিল না। সবসময় ভেবেছি, যতই খারাপ অবস্থায় থাকি না কেন, আমি ব্যাটিংয়ে যাব।”

সিরিজটি শেষ পর্যন্ত ২-২ ড্র হয়েছিল। তবে বৃষ্টির কারণে ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে পরাজয় থেকে রেহাই পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের বাকি তিন ম্যাচে আর খেলতে পারেননি লায়ন। ১২৯ টেস্টে ৫৩০ উইকেট শিকারিকে নিঃসন্দেহে মিস করেছে অস্ট্রেলিয়া। ৩৬ বছর বয়সী অফ স্পিনারের বিশ্বাস, তিনি থাকলে অজিরা আরও দুটি ম্যাচ জিতত, “আমার বিশ্বাস, আমি থাকলে অস্ট্রেলিয়া ৪-০ ব্যবধানে জিতত।”

মন্তব্য করুন: