পাকিস্তানকে ২০০’র আগে থামাতে পারল না বাংলাদেশ

বল হাতে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল বাংলাদেশের। সেই ধাক্কা কাটিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকে পাকিস্তান। তবে মাঝের কয়েক ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে স্বাগতিকদের দুইশ’র আগেই থামানোর আশা জাগিয়েছিলেন বোলাররা। কিন্তু শেষের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তা আর হয়নি। জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করতে লিটন দাসের দল ২০২ রানের লক্ষ্য পেয়েছে।

বুধবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২০১ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। শেষে দিকে ২৫ বলে ৪৮ বলের ঝড়ো ইনিংস খেলেন শাদাব খান।

ইনিংসের প্রথম দুই ওভারেই দুই ওপেনারকে তুলে নেয় বাংলাদেশ, যার শুরুটা করেন শেখ মাহেদী হাসান। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ফিরতি ক্যাচে সাইম আইয়ুবকে (০) তুলে নেন এই অফস্পিনার। পরের ওভারে ওভারে আরেক ওপেনার ফখর জামানকে (১) এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন শরিফুল ইসলাম।

তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ হারিস ও অধিনায়ক সালমান আলী আগা শুরুর এই বিপর্যয় দারুণভাবে সামাল দেন। পাল্টা আক্রমণে দলকে চাপমুক্ত করেন তারা। কিন্তু পাওয়ারপ্লে শেষ হতেই ৪৮ রানের এই জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। নিজের প্রথম ওভারে ডানহাতি এই পেসার তুলে নেন হারিসকে (৩১)।

অপর প্রান্তে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যান সালমান। ২৯ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি। তাকে সঙ্গ দিয়ে সমান তালে রান তুলতে থাকেন হাসান নাওয়াজও। ৫৫ রানের এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন হাসান মাহমুদ। ডানহাতি এই পেসারের করা ফুলটস বলকে সীমানা পার করতে গিয়ে কভার অঞ্চলে থাকা তানজিদ হাসান তামিমের হাতে সহজ ক্যাচ দেন সালমান (৫৬)।

রিশাদ হোসেনের করা ১৪তম ওভারের প্রথম তিন বলে একটি ছক্কা ও দুটি চারে ১৪ রান তুলে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন নাওয়াজ। কিন্তু চতুর্থ বলে বোলারের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২২ বলে ৪৪ রান করা এই ব্যাটার। এরপরই রানের গতি টেনে ধরেন বোলাররা। ধুঁকতে থাকা খুশদিল শাহকে স্টাম্পিং করান শামীম হোসেন।

তবে রিশাদের করা ১৮তম ওভারে দুই ছক্কা ও এক চারে ১৯ রান তুলে দলীয় সংগ্রহ দুইশর দিকে নিয়ে যেতে থাকেন শাদাব। ইনিংস শেষ হওয়ার এক বল আগে ডানহাতি এই ব্যাটারকে থামান শরিফুল।

বাঁহাতি এই পেসারের শিকার ২ উইকেট। খরুচে বোলিংয়ে ৪ ওভারে ৫৫ রান নিয়ে ১ উইকেট নেন রিশাদ।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]