হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

বড় লক্ষ্য তাড়ায় উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। কিন্তু বাঁহাতি এই ওপেনারের এনে দেওয়া শুরুটা ধরে রাখতে পারেননি পরের কেউই। মাঝের ওভারগুলোতে ধীরগতির ব্যাটিংয়ে হার দিয়ে সিরিজ শুরু করেছে লিটন দাসের দল। পাকিস্তানের কাছে তারা হেরেছে ৩৭ রানে।

বুধবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে ২০২ রানের লক্ষ্যে নামা বাংলাদেশ অলআউট হয় ১৬৪ রানে। ৬৪ রানে শেষ ৮ উইকেট হারায় তারা। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২০১ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।

আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন তানজিদ। কিন্তু ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে একবার জীবন পাওয়ার পর একই জায়গায় ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন (৪)। তবে অপর প্রান্তে আগ্রাসন চালিয়ে যান তানজিদ। কিন্তু আবারও নিজের ভালো শুরুকে বড় করতে ব্যর্থ হন এই ওপেনার। ১৭ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৩১ রান করে বোল্ড হন তিনি।

তানজিদের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে আসে রানের গতিও। লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয় দ্রুত রান তোলার বদলে উইকেট ধরে রেখে ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেন। শেষ পর্যন্ত রানরেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলে তা আর পুষিয়ে দিতে পারেননি কেউই। দীর্ঘদিন পর রানে ফেরা লিটন ৩০ বলে ৪৮ রান করে সাজঘরে ফিরতেই ভেঙে পড়ে পুরো ব্যাটিং অর্ডার।

২২ বলে ১৭ রান করে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরেন হৃদয়। পরের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মাঝে ২১ বলে ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে পরাজয়ের ব্যবধান কমান জাকের আলী। শেষ পর্যন্ত হাসান আলীর পেস তোপে ৪ বল আগেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ডানহাতি এই পেসারের শিকার ৫ উইকেট।

এর আগে প্রথম দুই ওভারে দুই ওপেনার সাইম আইয়ুব ও ফখর জামানকে তুলে নিয়ে দলকে ভালো শুরু এনে দেন শেখ মাহেদী হাসান ও শরিফুল ইসলাম। বিপর্যয়ে পড়া দলকে টেনে তুলতে ৪৮ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ হারিস ও অধিনায়ক সালমান আলী আগা। তবে পাওয়ারপ্লে শেষ হতেই তানজিম হাসান সাকিব নিজের প্রথম ওভারে হারিসকে (৩১) আউট করে এই জুটি ভাঙেন।

আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন সালমান। ৫৬ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৫৫ রানের জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। রিশাদ হোসেনের করা ১৪তম ওভারের প্রথম তিন বলে একটি ছক্কা ও দুটি চারে ১৪ রান তোলেন হাসান নাওয়াজ। কিন্তু চতুর্থ বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২২ বলে ৪৪ রান করে।

এরপর বোলাররা রানের গতি টেনে ধরেন। কিন্তু রিশাদের করা ১৮তম ওভারে দুটি ছক্কা ও একটি চার হাঁকিয়ে শাদাব খান দলকে দুইশর দিকে এগিয়ে নেন। ইনিংস শেষ হওয়ার এক বল আগে ২৫ বলে ৪৪ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান শরিফুল। বাঁহাতি এই পেসারের শিকার ২টি। ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে রিশাদ ১টি উইকেট নেন।

একই ভেন্যুতে শুক্রবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।