শতরানের উদ্বোধনী জুটির পরও ২০০ করতে পারল না বাংলাদেশ
১ জুন ২০২৫

তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে এক বছর পর টি-টুয়েন্টিতে শতরানের উদ্বোধনী জুটির দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পরের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ২০০ রানও করতে পারেনি তারা। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে পাকিস্তানকে ১৯৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে লিটন দাসের দল।
রোববার লাহোরে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৯৬ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ৩৪ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৬ রান করেন ইমন। শেষ ৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে কেবল ৪৬ রান তুলতে পারে সফরকারীরা।
এদিন ১৮ ইনিংস পর টি-টুয়েন্টিতে শতরানের উদ্বোধনী জুটির দেখা পায় বাংলাদেশ। সবশেষ শতরানের উদ্বোধনী জুটিটি আসে ২০২৪ সালের ২৫ মে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সেই ম্যাচে তানজিদ ও সৌম্য সরকার ১০৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছিলেন। এর মাঝে ওপেনিংয়ে ৫০ বা তার বেশি রানের জুটি আসে কেবল একবার।
আগের দুই ম্যাচের তুলনায় এদিনের শুরুটা বেশ সাবধানে করেন তানজিদ। চতুর্থ ওভারে ব্যক্তিগত ৬ রানে জীবনও পান তিনি। তবে অপর প্রান্তে বোলারদের ওপর ঝড় তোলেন ইমন। একের পর এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে দলের সংগ্রহ বাড়াতে থাকেন তিনি। জীবন পাওয়ার পর সঙ্গীর দেখানো পথে হাঁটেন তানজিদও। ৩৩ বলে এই দুই ব্যাটার দলের খাতায় যোগ করেন ৫০ রান।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ২৭ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ফিফটি তুলে নেন ইমন। একাদশ ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে বাঁহাতি এই ব্যাটার দলকে শতরান স্পর্শ করান। কিন্তু সেই ওভারেই ১১০ রানের উদ্বোধনী জুটিটি ভাঙে। ফাহিম আশরাফের বলে র্যাম্প শট খেলতে গিয়ে ৩২ বলে ৪২ রান করে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তানজিদ।
পরের ওভারে সাজঘরের পথ দেখেন ইমনও। সুইপ শট খেলতে গিয়ে তার ব্যাটের কানায় লেগে উপরে ওঠা বলটি গ্লাভসবন্দি করেন উইকেটরক্ষক। এরপর লিটন ও তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে দুইশ রানের পথেই ছিল দল। ১৫ ওভার শেষে দলের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১৫০ রান। কিন্তু এরপরই ঘটে ছন্দপতন।
হাসান আলীর করা ইনিংসের ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মারেন লিটন। কিন্তু পরের বলে র্যাম্প শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন ১৮ বলে ২২ রান করা এই ব্যাটার। পরের ওভারে জোড়া আঘাতে শামীম হোসেন পাটোয়ারী (৮) ও হৃদয়কে (২৫) তুলে নেন আব্বাস আফ্রিদি। শেষ পর্যন্ত দুইশ রানের আগেই থামতে হয় দলকে।
[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]
মন্তব্য করুন: