পাকিস্তানের কাছে শেষ ম্যাচে হেরে হোয়াইটওয়াশড বাংলাদেশ
২ জুন ২০২৫

ওপেনারদের নৈপুণ্যে দুইশ রানের ভিত পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পরের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় তা আর পূর্ণ করতে পারেনি তারা। লাহোরের ব্যাটিং সহায়ক পিচে রান তাড়ায় নামা পাকিস্তানকে চাপে ফেলতে পারলেন না বোলাররাও। ৭ উইকেটে হেরে টি-টুয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হয়েছে লিটন দাসের দল।
রোববার গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টিতে মোহাম্মদ হারিসের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ১৬ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় পাকিস্তান। এর আগে পারভেজ হোসেন ইমনের ফিফটিতে ৬ উইকেটে ১৯৬ রান তোলে বাংলাদেশ।
প্রথম ওভারেই আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় সাহিবজাদা ফারহানকে (১) তুলে নিয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিতই দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু সাইম আইয়ুব ও হারিসের তাণ্ডবে দ্রুতই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় সফরকারীরা।
দশম ওভারে আইয়ুবকে (৪৫) ফিরিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৯২ রানের জুটিটি ভেঙে দলকে কিছুটা স্বস্তি এনে দেন তানজিম হাসান সাকিব। তবে হারিস ও হাসান নাওয়াজের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ের পথেই থাকে পাকিস্তান। ২৬ রান করা হাসানকে ফেরান মিরাজ।
৪৫ বলে ৮ চার ও ৬ ছক্কায় পাকিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি হাঁকান হারিস। শেষ পর্যন্ত ক্যারিয়ারের প্রথম শতকে ৪৬ বলে ১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আক্রমাণত্মক ব্যাটিংয়ে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন। একের পর এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে ২৭ বলে ফিফটি তুলে নেন ইমন। ফিফটির পথে ছিলেন তানজিদও। কিন্তু এদিনও ভালো শুরুকে বড় করতে ব্যর্থ হয়ে বাঁহাতি এই ব্যাটার ফেরেন ৪২ রানে। তার বিদায়ে ভাঙে ১১০ রানের উদ্বোধনী জুটি।
এটি ১৮ ইনিংস পর টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের শতরানের উদ্বোধনী জুটি। ২০২৪ সালের ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সবশেষ শতরানের ওপেনিং জুটি গড়েছিলেন তানজিদ ও সৌম্য সরকার।
সঙ্গীর বিদায়ের পরের ওভারে সাজঘরের পথ দেখেন ইমনও। বাঁহাতি এই ব্যাটার ৩৪ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৬ রান করেন। এরপর লিটন ও তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে দুইশ রানের পথেই ছিল দল। ১৫ ওভার শেষে দলের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১৫০ রান। কিন্তু এরপরই ঘটে ছন্দপতন।
হাসান আলীর করা ইনিংসের ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মারেন লিটন। কিন্তু পরের বলে র্যাম্প শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন ২২ রান করা এই ব্যাটার। পরের ওভারে জোড়া আঘাতে শামীম হোসেন পাটোয়ারী (৮) ও হৃদয়কে (২৫) তুলে নেন আব্বাস আফ্রিদি। শেষ ৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে দলের খাতায় যোগ হয় কেবল ৪৬ রান।
মন্তব্য করুন: