রানার হ্যাটট্রিকের পর শেষ ওভারের নাটকীয়তায় সিলেটের জয়

২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

রানার হ্যাটট্রিকের পর শেষ ওভারের নাটকীয়তায় সিলেটের জয়

পারভেজ হোসেন ইমন ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে সহজ জয়ের পথেই ছিল সিলেট টাইটান্স। তবে এই জুটি ভাঙার পর মেহেদী হাসান রানার হ্যাটট্রিকে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেছিল নোয়াখালী এক্সপ্রেস। কিন্তু শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ১ উইকেটের জয় পেয়েছে সিলেট।

শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নোয়াখালীর দেওয়া ১৪৪ রানের তাড়ায় শেষ বলে জয় পায় মেহেদী হাসান মিরাজের দল।

লক্ষ্য তাড়ায় ৩৪ রানে তিন টপ-অর্ডারকে হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে ইমন ও মিরাজের ৮৩ রানের জুটিতে সহজ জয়ের পথে ছিল সিলেট। কিন্তু টানা দ্বিতীয় ফিফটি হাঁকানো ইমনের (৬০) বিদায়ে এই জুটি ভাঙার পর নাটকীয়তায় মোড় নেয় ম্যাচ। তখনও জয়ের জন্য সিলেটের দরকার ছিল ২৬ বলে ২৭ রান। পরের ওভারে বিদায় নেন আফিফ।

১৮তম ওভারে ম্যাচের দৃশ্যপট নতুন করে লেখেন রানা। নিজের শেষ ওভারের চতুর্থ ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড করান অধিনায়ক মিরাজকে (৩৩)। পরের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলান নাসুম আহমেদকে। শেষ বলে খালেদ আহমেদকে তুলে নিয়ে এবারের বিপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন বাঁহাতি এই পেসার।

তবে নাটকীয়তার পুরোটা তুলে রাখা ছিল শেষ ওভারের  জন্য। জয়ের জন্য সিলেটের দরকার ছিল ১৩ রানের, আর নোয়াখালীর দুই উইকেট। ওভারের প্রথম দুই বলে ডট দিয়ে ম্যাচ নিজেদের করে নেওয়ার আভাস দেন সাব্বির হোসেন। কিন্তু পরের ডেলিভারিতে নো বল সিলেটের দিকে ম্যাচ আলগা করে দেন ডানহাতি এই মিডিয়াম পেসার।

পরের দুই বলে ছক্কা ও চারে ব্যবধান ২ রানে নিয়ে আসেন ইথান ব্রুক। তবে পরের বলে ডানহাতি এই ব্যাটার রান-আউট হলে জমে ওঠে ম্যাচ। শেষ বলে ২ রান লাগত সিলেটের। তবে সাব্বির বলটি ওয়াইড দেন। শেষ বলটি প্যাডে লাগলে দৌড়ে রান নিয়ে দলকে জেতান সালমান ইরশাদ।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা নোয়াখালী প্রথম দুই ওভারে ৯ রানের ভেতর ৩ উইকেট হারিয়ে দারুণ চাপে পড়ে। সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেটে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও জাকের আলীর ৩৯ বলে ৬৬ রানের জুটিতে লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। মাহিদুল অপরাজিত থাকেন ৬১ রানে। জাকের করেন ২৯ রান।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]

মন্তব্য করুন: